ঢাকা ১০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দায় স্বীকার করে আদালতে হামলাকারীর জবানবন্দি

চাঁদপুর সদরে জুমার নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরেই ইমামের ওপর হামলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বিল্লাল হোসেন । পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে আহত ইমাম ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি এখন আগের চেয়ে সুস্থ আছেন বলে জানিয়ে পরিবার।

এর আগে শুক্রবার চাঁদপুর সদরের প্রফেসরপাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজে খুতবা ও আলোচনার সময় ইমাম নূর রহমানের বক্তব্যে ক্ষিপ্ত হন ওই এলাকার তরকারির ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন। নামাজ শেষে বিল্লাল চাপাতি নিয়ে মসজিদের ভেতরেই ইমামের ওপর হামলা চালান। পরে মুসল্লিরা আহত অবস্থায় ইমামকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং হামলাকারীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এ ঘটনায় রাতেই চাঁদপুর মডেল থানায় মামলাটি করেন আহত নূর রহমানের বড় ছেলে আফনান তাকি।

শনিবার ইমামের ছেলে আফনান তাকি বলেন, বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছি। বর্তমানে তিনি হলি কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং শঙ্কামুক্ত।

তিনি আরও বলেন, আমার বাবার ওপর বর্বরোচিত হামলার বিচার চাই।

এদিকে বিল্লালকে শনিবার চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাতুল হাসান আল মুরাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসব তথ্য জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল কাদের জিলানি। তিনি বলেন, রোববার বিল্লালকে আবার কোর্টে হাজির করলে ৭ দিন রিমান্ড চাওয়া হবে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আব্দুর রকিব জানান, বিল্লাল নিজেই এই নির্মম কাজটি সম্পন্ন করেছেন। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হলে দায় স্বীকার করে তিনি জবানবন্দি দেন।

বিল্লাল ধর্মীয় কোনো উগ্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এমন কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাইনি। তদন্ত চলছে।

এদিকে চাঁদপুরে ইমামের ওপর হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। শনিবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি বাইতুল আমিন জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে শহর জামায়াত। কর্মসূচিতে জেলা জামায়াতের আমির বিল্লাল হোসেন, জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহাজাহান মিয়াসহ উপজেলা ও শহর জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পাউবোর কোটি টাকার তেল চুরির অভিযোগে দুদকের অভিযান

দায় স্বীকার করে আদালতে হামলাকারীর জবানবন্দি

আপডেট সময় ০৭:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

চাঁদপুর সদরে জুমার নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরেই ইমামের ওপর হামলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বিল্লাল হোসেন । পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে আহত ইমাম ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি এখন আগের চেয়ে সুস্থ আছেন বলে জানিয়ে পরিবার।

এর আগে শুক্রবার চাঁদপুর সদরের প্রফেসরপাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজে খুতবা ও আলোচনার সময় ইমাম নূর রহমানের বক্তব্যে ক্ষিপ্ত হন ওই এলাকার তরকারির ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন। নামাজ শেষে বিল্লাল চাপাতি নিয়ে মসজিদের ভেতরেই ইমামের ওপর হামলা চালান। পরে মুসল্লিরা আহত অবস্থায় ইমামকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং হামলাকারীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এ ঘটনায় রাতেই চাঁদপুর মডেল থানায় মামলাটি করেন আহত নূর রহমানের বড় ছেলে আফনান তাকি।

শনিবার ইমামের ছেলে আফনান তাকি বলেন, বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছি। বর্তমানে তিনি হলি কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং শঙ্কামুক্ত।

তিনি আরও বলেন, আমার বাবার ওপর বর্বরোচিত হামলার বিচার চাই।

এদিকে বিল্লালকে শনিবার চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাতুল হাসান আল মুরাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসব তথ্য জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল কাদের জিলানি। তিনি বলেন, রোববার বিল্লালকে আবার কোর্টে হাজির করলে ৭ দিন রিমান্ড চাওয়া হবে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আব্দুর রকিব জানান, বিল্লাল নিজেই এই নির্মম কাজটি সম্পন্ন করেছেন। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হলে দায় স্বীকার করে তিনি জবানবন্দি দেন।

বিল্লাল ধর্মীয় কোনো উগ্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এমন কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাইনি। তদন্ত চলছে।

এদিকে চাঁদপুরে ইমামের ওপর হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। শনিবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি বাইতুল আমিন জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে শহর জামায়াত। কর্মসূচিতে জেলা জামায়াতের আমির বিল্লাল হোসেন, জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহাজাহান মিয়াসহ উপজেলা ও শহর জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।