রাজধানীর পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় প্রতিবাদকারীরা বলেন, ‘আমার সোনার বাংলায় খুনিদের ঠাঁই নাই’, “ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, “এক দুই তিন চার চাঁদাবাজ দেশ ছাড়’, “চাঁদাবাজের ঠিকানা এই বাংলা হবে না,’ “জনে জনে মানুষ মরে ইন্টেরিম কি করে?’ “লীগ গেছে যেই পথে দল যাবে সেই পথে’।
এ সময় সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “জুলাইয়ের পর থেকে আমরা দুইটি সংস্কার সবচেয়ে বেশি চেয়েছি। একটি মিডিয়া সংস্কার, অন্যটি প্রশাসনের সংস্কার। ৪৮ ঘণ্টা পর এই ঘটনা কেন আমাদের সামনে আসল? চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে যারা একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করে, ক্ষমতায় আসার পরে তাদের তাদের পথের কাঁটা আজকের জুলাই যোদ্ধারাই হবে।”
তিনি আরো বলেন, “যারা দলমত নির্বিশেষে সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন, সেই জুলাই যোদ্ধারাও তাদের হামলা থেকে নিস্তার পাবে না। ইন্টেরিম সরকারের কাছে বিচার চাইতে চাইতে আমরা নাজেহাল হয়ে গেছি। একটা দলের হাইকমান্ড থেকে এই ব্যাপারটা নিয়ে উল্টো ন্যারেটিভ দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
আরেক সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, “আপনারা সবাই অবগত আছেন জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে কী পরিমাণ নৃশংসতার সাক্ষী এ দেশের মানুষ হয়েছে। আজকে যে হত্যাকাণ্ডের জন্য আমরা এখানে সমাবেত হয়েছি–আমি সেই হত্যাকারী যুবদলের নাম স্পষ্ট করে বলতে চাই। এ বাংলাদেশে আপনাকে দলের নাম ধরে সমালোচনা করা শিখতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “যদি সমালোচনা না করেন তবে প্রত্যেকে আবার হাসিনা হয়ে উঠবে, আওয়ামী লীগ হয়ে উঠবে। তাই এই বাংলাদেশে জুলাই যতদিন বেচে থাকবে ততদিন এ দেশে আবার কোনো আওয়ামী লীগ হয়ে উঠতে দেব না। সেটা বিএনপি হোক, জামায়াত হোক বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল হোক– কোনোভাবেই এ দেশে আর কোনো সন্ত্রাসবাদ কায়েম হতে দেব না।”