ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুরান ঢাকায় নৃশংস সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতরা শনাক্ত, মিলল ২ জনের পরিচয়

রাজধানীর পুরান ঢাকায় গত বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদ মিয়া (ওরফে সোহাগ) নামে এক ভাঙরীব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও  তারেক রহমান রবিন (২২)। গ্রেপ্তার তারেকের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে। মহিন ঘটনার মূলহোতা।

স্থানীয়রা জানায়, নিহত সোহাগ ও হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া মহিন, টিটুসহ জড়িতরা ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে, তাদের কোনো পদ রয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত সোহাগ মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসার সঙ্গে পুরোনো বৈদ্যুতিক কেবল কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। ওই এলাকায় বিদ্যুতের তামার তার ও সাদা তারের ব্যবসার একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। এর নিয়ন্ত্রণ ছিল সোহাগের হাতে। তবে, এর নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া ছিল মহিন ও টিটু নামে আরও দুজন। তারা বাণিজ্যের ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ চেয়েছিল। তা না হলে নিয়মিত চাঁদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল তারা। এর জেরেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

ঘটনার দিন ঝামেলা মিটমাটের কথা বলে সোহাগগে বাসা থেকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায় হয়। এরপর সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করা লোকজন সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মন্ত্রীপাড়ার চাপে মাহিন সরকারকে সরানো হয়েছে: জামালুদ্দীন

পুরান ঢাকায় নৃশংস সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতরা শনাক্ত, মিলল ২ জনের পরিচয়

আপডেট সময় ০৯:৩১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর পুরান ঢাকায় গত বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদ মিয়া (ওরফে সোহাগ) নামে এক ভাঙরীব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও  তারেক রহমান রবিন (২২)। গ্রেপ্তার তারেকের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে। মহিন ঘটনার মূলহোতা।

স্থানীয়রা জানায়, নিহত সোহাগ ও হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া মহিন, টিটুসহ জড়িতরা ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে, তাদের কোনো পদ রয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত সোহাগ মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসার সঙ্গে পুরোনো বৈদ্যুতিক কেবল কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। ওই এলাকায় বিদ্যুতের তামার তার ও সাদা তারের ব্যবসার একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। এর নিয়ন্ত্রণ ছিল সোহাগের হাতে। তবে, এর নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া ছিল মহিন ও টিটু নামে আরও দুজন। তারা বাণিজ্যের ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ চেয়েছিল। তা না হলে নিয়মিত চাঁদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল তারা। এর জেরেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

ঘটনার দিন ঝামেলা মিটমাটের কথা বলে সোহাগগে বাসা থেকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায় হয়। এরপর সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করা লোকজন সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।