রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দিপংকর তালুকদারকে পটিয়াতে পেয়ে তাকে প্লাটফর্মটির নেতাকর্মীরা পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে গেলে চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দিবাগত রাত ৯টার দিকে পটিয়া থানা চত্বরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় একাধিক নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাতে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগ নেতা দিপংকরকে আটক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসেন তারা। এসময় ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে অপারগতা প্রকাশ করলে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও একপর্যায়ে হামলা ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে অভিযোগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ বলেছেন, আজকে রাঙ্গামাটি জেলার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দিপংকর তালুকদারকে পটিয়াতে পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এসময় ছাত্রলীগের পক্ষ হয়ে পটিয়া থানার ওসি ছাত্রদের উপর অতর্কিত হামলা করে। পটিয়ার বর্তমান ওসি ফ্যাসিবাদী আমলে চট্টগ্রামের ডিবিতে ছিলাম। গণহত্যাকারী পুলিশদেরকে শুধুমাত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ট্রান্সফার করে যে দায় মুক্তি দেয়া হয়েছে সেটা বিপ্লবীদের জন্য ভয়ংকর রূপে ব্যাকফায়ার করছে।
তিনি বলেছেন, যাদের ওপর হামলা করে তাদের নিরাপদে আনার জন্য আরো কিছু সহযোদ্ধারা যায়, তাদের ওপর ও পুলিশ হামলা করেছে বলে জানা যায়, এ ঘটনায় অনেকে আহত হয়ে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি রয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামীকাল পটিয়া থানার সামনে পটিয়া ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছে স্থানীয়রা। এই কর্মসূচির সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একাত্মতা জানাচ্ছে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করে বলা হয়, আজকে রাঙ্গামাটি জেলার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দিপংকর তালুকদারকে পটিয়াতে পেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতা তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এসময় ছাত্রলীগের পক্ষ হয়ে পটিয়া থানার ওসি ছাত্রদের উপর অতর্কিত হামলা করে।জানা গিয়েছে, পটিয়ার ওসি ফ্যাসিবাদী হাসিনার আমলে চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এইটা স্পষ্টভাবেই প্রমাণ করে হাসিনার পুলিশ এখনো তাদের চিরায়ত প্রবৃত্তি পাল্টাতে পারে নাই। যাদের ওপর হামলা করে তাদের নিরাপদে আনার জন্য আরো কিছু সহযোদ্ধারা যায়, তাদের ওপর ও পুলিশ হামলা করেছে বলে জানা যায়, এ ঘটনায় অনেকে আহত হয়ে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি রয়েছে।
হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মো. শহিদুল ইসলাম সাগর নামে একজন এক ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, যদিও জুলাইকে আমরা বিরক্ত করেছি, বিভিন্ন দলের নাম দিয়ে, কিন্তু পুলিশ বিভক্ত করল না, সবাইকে একই সুরে পিটাইছে। তাই সবার প্রতি আহ্বান থাকবে জুলাইকে বিভক্ত না করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকে তাহলে কেউ আমাদেরকে টাচ করতে পারবে না।
ঘটনা প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি অসুস্থ বলে জানান এবং পরে কল দেওয়ার অনুরোধ জানান।