ঢাকা ০৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হরিণ শিকারের ফাঁদ বসাতে গিয়ে, নিজেই শিকার দুলাল

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালি অভয়ারণ্যের সুখপাড়া খালের পাশের বনাঞ্চলে হরিণ শিকারের জন্য ফাঁদ বসাতে গিয়ে মো. আরিফুল ইসলাম দুলাল (৩৫) নামের এক পেশাদার শিকারিকে হাতেনাতে আটক করেছে বন বিভাগের SMART পেট্রোল টিম-২।

সোমবার (৩০ জুন) সকাল সকাল ১১ টার দিকে কচিখালি অভয়ারণ্যে টহলের সময় তাকে ফাঁদ বসানোর মুহূর্তে ধরে ফেলে বন বিভাগের সদস্যরা।
আটক দুলালের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কোরাইল্যা গ্রামে। তিনি আব্দুল খালেক মিলনের ছেলে।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শিকারের উদ্দেশ্যে দুলালের কাছে থাকা বিপুল পরিমাণ আলামত জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শত শত হরিণ শিকারের ফাঁদ, একটি করাত, ধারালো ছুরি, প্রায় ২০০ গজ পলিথিন, ১০০ ফুট প্লাস্টিকের রশি, ১১টি খালি প্লাস্টিকের বস্তা ও দুটি পাতিল। এসব আলামত তাৎক্ষণিকভাবে কচিখালি অভয়ারণ্য কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বন আইন ১৯২৭ (সংশোধিত) অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন SMART পেট্রোল টিম-২ এর দলনেতা ফরেস্টার দিলিপ মজুমদার। তিনি বলেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের টিম সর্বদা তৎপর। অবৈধ অনুপ্রবেশ ও শিকার রোধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সুন্দরবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় এমন উদ্যোগ বন বিভাগের প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন পরিবেশ সচেতনরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৪১

হরিণ শিকারের ফাঁদ বসাতে গিয়ে, নিজেই শিকার দুলাল

আপডেট সময় ১০:০৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালি অভয়ারণ্যের সুখপাড়া খালের পাশের বনাঞ্চলে হরিণ শিকারের জন্য ফাঁদ বসাতে গিয়ে মো. আরিফুল ইসলাম দুলাল (৩৫) নামের এক পেশাদার শিকারিকে হাতেনাতে আটক করেছে বন বিভাগের SMART পেট্রোল টিম-২।

সোমবার (৩০ জুন) সকাল সকাল ১১ টার দিকে কচিখালি অভয়ারণ্যে টহলের সময় তাকে ফাঁদ বসানোর মুহূর্তে ধরে ফেলে বন বিভাগের সদস্যরা।
আটক দুলালের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কোরাইল্যা গ্রামে। তিনি আব্দুল খালেক মিলনের ছেলে।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শিকারের উদ্দেশ্যে দুলালের কাছে থাকা বিপুল পরিমাণ আলামত জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শত শত হরিণ শিকারের ফাঁদ, একটি করাত, ধারালো ছুরি, প্রায় ২০০ গজ পলিথিন, ১০০ ফুট প্লাস্টিকের রশি, ১১টি খালি প্লাস্টিকের বস্তা ও দুটি পাতিল। এসব আলামত তাৎক্ষণিকভাবে কচিখালি অভয়ারণ্য কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বন আইন ১৯২৭ (সংশোধিত) অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন SMART পেট্রোল টিম-২ এর দলনেতা ফরেস্টার দিলিপ মজুমদার। তিনি বলেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের টিম সর্বদা তৎপর। অবৈধ অনুপ্রবেশ ও শিকার রোধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সুন্দরবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় এমন উদ্যোগ বন বিভাগের প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন পরিবেশ সচেতনরা।