ঢাকাভয়েস ডেক্স: শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায় ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে গাজীপুর নগরের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় নগরের গাজীপুরা কাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার কাজী আবদুল মান্নানের ছেলে কাজী হারুন অর রশিদকে (৫০) প্রধান আসামি করে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান।
সখীপুরে সপ্তাহে অর্ধ কোটি টাকার কাঁঠাল বিক্রি
মামলার আসামিরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মী বলে জানা গেছে। তাঁরা হলেন, ফারহাদ বিন প্রবাল, আবু সাঈদ মোল্লা, কাজী মামুন, নুরুল আমিন বাবু, আবদুল্লাহ আল মামুন, বাদশা মিয়া, আদনান খান, কাউসার, জসিম, তারা মিয়া, এম এস আরিফ, আরেফিন সিদ্দিক বুলবুল, আসাদুজ্জামান মামুন, আজিজুর রহমান, নাহিদ, সেলিম, সোহেল আহাম্মেদ ময়না, মাইদুল মোল্লা, সেলিম মোল্লা, মাসুদ মোল্লা, রফিকুল ইসলাম, মইনুদ্দিন, আলমগীর হোসেন, নাজমুল করিম বাবু, ফজলে রাব্বি প্রমুখ। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ জনকে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরা পশ্চিমপাড়া স্যাটার্ন টেক্সটাইলস লিমিটেডের চুক্তিপত্র অনুযায়ী বাতিলকৃত কাপড় (ঝুট) কেনার জন্য কয়েকজনকে নিয়ে বাদী (হুমায়ুন কবির) উপস্থিত হন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে বাদী কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আসামিরা এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন এবং ভয়ভীতি দেখান। একপর্যায়ে তাঁরা ১০ থেকে ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, তাঁরা বিএনপি নেতা গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব হালিম মোল্লার লোকজন। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায়
গাজীপুর মেট্রোপলিটন টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় গতকাল রাতে একটি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তার নেই। আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে
ঢাকাভয়েস২৪/সাদিক