ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবাগতদের আবাসন সংকট নিরসনে ঢাবি ছাত্রশিবিরের চার দফা দাবি Logo হরিণ শিকারের ফাঁদ বসাতে গিয়ে, নিজেই শিকার দুলাল Logo মব নয়, এটি সাংবাদিকতার ব্যর্থতারে ফল প্রেসার গ্রুপ: প্রেস সচিব Logo এনবিআরের রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে Logo ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান Logo ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি Logo পিআর ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারীরা দেশের আদর্শে বিশ্বাসী নয়: মঈন খান Logo ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৫-২৬ অর্থবছরে জবির বাজেট ২৯৭ কোটি ৮২ লক্ষ Logo ফরিদগঞ্জে ছাত্রশিবিরের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo চট্টগ্রামে বিএনপির দু’পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১৫

ট্রাম্পের বক্তব্য লক্ষ-কোটি মুসলিমের অনুভূতিতে আঘাত করেছে : ইরান

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলি খামেনির বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘অপমানজনক’ মন্তব্যকে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক রীতিনীতির চরম লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলছে, ট্রাম্পের এই বক্তব্য শুধু জাতিসংঘ সনদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার সংক্রান্ত মৌলিক নীতিমালাকেই উপেক্ষা করে না; বরং এটি একটি সম্মানিত সভ্যতাকে অবমাননা এবং বিশ্বের লক্ষ-কোটি মুসলিমের অনুভূতিতে আঘাত।

সম্প্রতি ট্রাম্প এক বক্তব্যে দাবি করেছেন, তিনি নাকি ইসরায়েল ও মার্কিন বাহিনীকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা করতে বাধা দিয়েছেন। এ মন্তব্যকে ‘অশোভন ও কুরুচিকর’ বলেও উল্লেখ করেছে তেহরান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইরান এবং মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি এ ধরনের অবমাননাকর এবং দম্ভভরা ভাষা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষুদ্র চিন্তাধারাকে তুলে ধরে, যা তাদের ‘সংলাপ ও সহযোগিতা’ প্রচেষ্টাকে অবিশ্বস্ত করে তোলে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা এ ধরনের উসকানিমূলক ভাষা বন্ধ করে এবং নিজেদের অবস্থান পরিবর্তনের ধারাবাহিক প্রবণতা ত্যাগ করে। পাশাপাশি তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর চালানো হামলার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোয় জবাবদিহি করে।

গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যা জাতিসংঘ সনদ ও পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন বলে দাবি করেছে ইরান।

এই ঘটনার জবাবে ইরান কাতারে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর ঠিক দুই দিন পরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেন।

ইরান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এসব দৃষ্টিভঙ্গি শুধু কূটনৈতিক সৌজন্যবোধকে অপমান করে না; বরং এই আচরণ পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।

ট্যাগস :

নবাগতদের আবাসন সংকট নিরসনে ঢাবি ছাত্রশিবিরের চার দফা দাবি

ট্রাম্পের বক্তব্য লক্ষ-কোটি মুসলিমের অনুভূতিতে আঘাত করেছে : ইরান

আপডেট সময় ১০:৫৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলি খামেনির বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘অপমানজনক’ মন্তব্যকে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক রীতিনীতির চরম লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলছে, ট্রাম্পের এই বক্তব্য শুধু জাতিসংঘ সনদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার সংক্রান্ত মৌলিক নীতিমালাকেই উপেক্ষা করে না; বরং এটি একটি সম্মানিত সভ্যতাকে অবমাননা এবং বিশ্বের লক্ষ-কোটি মুসলিমের অনুভূতিতে আঘাত।

সম্প্রতি ট্রাম্প এক বক্তব্যে দাবি করেছেন, তিনি নাকি ইসরায়েল ও মার্কিন বাহিনীকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা করতে বাধা দিয়েছেন। এ মন্তব্যকে ‘অশোভন ও কুরুচিকর’ বলেও উল্লেখ করেছে তেহরান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইরান এবং মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি এ ধরনের অবমাননাকর এবং দম্ভভরা ভাষা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষুদ্র চিন্তাধারাকে তুলে ধরে, যা তাদের ‘সংলাপ ও সহযোগিতা’ প্রচেষ্টাকে অবিশ্বস্ত করে তোলে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা এ ধরনের উসকানিমূলক ভাষা বন্ধ করে এবং নিজেদের অবস্থান পরিবর্তনের ধারাবাহিক প্রবণতা ত্যাগ করে। পাশাপাশি তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর চালানো হামলার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোয় জবাবদিহি করে।

গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যা জাতিসংঘ সনদ ও পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন বলে দাবি করেছে ইরান।

এই ঘটনার জবাবে ইরান কাতারে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর ঠিক দুই দিন পরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেন।

ইরান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এসব দৃষ্টিভঙ্গি শুধু কূটনৈতিক সৌজন্যবোধকে অপমান করে না; বরং এই আচরণ পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।