ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বগুড়ায় খাস জমি দখলে আ’মী লীগ নেতা, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা Logo আমরা উচ্চকক্ষে পিআরের পক্ষে, নিম্নকক্ষে পিআরের পক্ষে নই- জামালপুরে সারজিস আলম Logo এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ১৬ অক্টোবর,যে ভাবে দেখবেন Logo ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “সমাবর্তন” অনুষ্ঠান Logo ঢাবির ছাত্রাবাসের সামনে সংঘর্ষ, নেপথ্যে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল কর্মীর দোকান Logo আবু সাঈদ হত্যা মামলার দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Logo চবি ছাত্রদলের নেতা মামুনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল Logo নর্থসাউথ শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে হরগঙ্গায় কোরআন বিতরণ Logo দিনাজপুরে শিবিরকর্মী হত্যা মামলায় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন কারাগারে Logo ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক

যে মামলা ঘিরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন এস কে সিনহা, তা স্থগিত করলেন আপিল বিভাগ

ঢাকাভয়েস ডেস্ক:বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে সবচেয়ে চর্চিত মামলার নাম মাসদার হোসেন মামলা। আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিলেও পরবর্তী কোনো সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি। শুধু ১/১১ সময় বিচারক নিয়োগের জন্য জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন গঠন করা হয়।

১৯৯৯ সালে দেয়া এ মামলার রায়ে বলা হয়, বিচারকরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হলেও তারা সিভিল এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস থেকে পৃথক। কাজেই শৃঙ্খলা বিধি সরকারি কর্মচারীদের থেকে ভিন্ন হবে। এই মামলায় অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধিমালাকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনার সাথে সম্পর্কের অবনতি সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার। শেষে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।

যদিও এস কে সিনহা চলে যাবার পর সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞাকে দিয়ে নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির অনুমোদন নিয়ে নেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিধিমালায় সুপ্রিম কোর্টের প্রাধান্য খর্ব করে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রাধান্য দেওয়া হয়।

 

আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি অনুমোদন করার কারণে হাইকোর্ট বিভাগে ১১৬ অনুচ্ছেদের রিট মামলার শুনানিতে জটিলতা হতে পারে উল্লেখ করে গেলো মাসে রিভিউ আবেদন করা হয়। রোববার যার রায় দিলেন আপিল বিভাগ।

মাসদার হোসেন মামলার রিভিউয়ের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, অতীতে যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের আদেশ ছিল সেজন্য শৃঙ্খলা বিধি আমরা চ্যালেঞ্জ করা সত্ত্বেও হাইকোর্টের সামনে একটি প্রশ্ন ছিল, যে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশকে রেখে হাইকোর্ট এই মামলার শুনানি করতে পারবে কি না। আজকের এই আদেশের ফলে সেই বাধাটাও দূরীভূত হলো। কিন্তু আমাদের সুপ্রিম কোর্টের যদি স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হয় তাহলে এ ধরণের শৃঙ্খলা বিধি কার্যকর রেখে কোন ভাবেই স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ জন্যেই আমরা এই আদেশের রিভিউ চেয়েছিলাম।

এ রায়ের ফলে কি হবে তা জানতো চাইলে আইনজীবী শিশির মনির বললেন, এখন ১১৬ অনুচ্ছেদের রুল শুনানিতে আর কোন বাধা নেই।

কিভাবে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির মামলাকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনার সাথে সম্পর্ক খারাপ হয় এস কে সিনহার, তা ব্রোকেন ড্রিম বইয়ে তুলে ধরেছিলেন এস কে সিনহা। সেটি আপিল বিভাগে তুলে ধরা হয়।

ঢাকাভয়েস২৪/সাদিক

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ায় খাস জমি দখলে আ’মী লীগ নেতা, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা

যে মামলা ঘিরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন এস কে সিনহা, তা স্থগিত করলেন আপিল বিভাগ

আপডেট সময় ০৩:২৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

ঢাকাভয়েস ডেস্ক:বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে সবচেয়ে চর্চিত মামলার নাম মাসদার হোসেন মামলা। আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিলেও পরবর্তী কোনো সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি। শুধু ১/১১ সময় বিচারক নিয়োগের জন্য জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন গঠন করা হয়।

১৯৯৯ সালে দেয়া এ মামলার রায়ে বলা হয়, বিচারকরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হলেও তারা সিভিল এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস থেকে পৃথক। কাজেই শৃঙ্খলা বিধি সরকারি কর্মচারীদের থেকে ভিন্ন হবে। এই মামলায় অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধিমালাকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনার সাথে সম্পর্কের অবনতি সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার। শেষে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।

যদিও এস কে সিনহা চলে যাবার পর সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞাকে দিয়ে নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির অনুমোদন নিয়ে নেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিধিমালায় সুপ্রিম কোর্টের প্রাধান্য খর্ব করে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রাধান্য দেওয়া হয়।

 

আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি অনুমোদন করার কারণে হাইকোর্ট বিভাগে ১১৬ অনুচ্ছেদের রিট মামলার শুনানিতে জটিলতা হতে পারে উল্লেখ করে গেলো মাসে রিভিউ আবেদন করা হয়। রোববার যার রায় দিলেন আপিল বিভাগ।

মাসদার হোসেন মামলার রিভিউয়ের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, অতীতে যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের আদেশ ছিল সেজন্য শৃঙ্খলা বিধি আমরা চ্যালেঞ্জ করা সত্ত্বেও হাইকোর্টের সামনে একটি প্রশ্ন ছিল, যে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশকে রেখে হাইকোর্ট এই মামলার শুনানি করতে পারবে কি না। আজকের এই আদেশের ফলে সেই বাধাটাও দূরীভূত হলো। কিন্তু আমাদের সুপ্রিম কোর্টের যদি স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হয় তাহলে এ ধরণের শৃঙ্খলা বিধি কার্যকর রেখে কোন ভাবেই স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ জন্যেই আমরা এই আদেশের রিভিউ চেয়েছিলাম।

এ রায়ের ফলে কি হবে তা জানতো চাইলে আইনজীবী শিশির মনির বললেন, এখন ১১৬ অনুচ্ছেদের রুল শুনানিতে আর কোন বাধা নেই।

কিভাবে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির মামলাকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনার সাথে সম্পর্ক খারাপ হয় এস কে সিনহার, তা ব্রোকেন ড্রিম বইয়ে তুলে ধরেছিলেন এস কে সিনহা। সেটি আপিল বিভাগে তুলে ধরা হয়।

ঢাকাভয়েস২৪/সাদিক