ঢাকা ১১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

একমাত্র আল্লাহই সব বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারেন

ঢাকাভয়েস ডেস্ক: জীবনে কখনো না কখনো সবাই বিপদে পড়ে। কষ্ট, দুশ্চিন্তা, দারিদ্র্য—এসব মানুষের মন ও শরীরকে ভেঙে দেয়। এমনকি পরিবার, সমাজ ও দেশের ওপরও এর প্রভাব পড়ে।এই সময় একজন মুসলমানের উচিত আল্লাহর কথা মনে করা। কোরআনে বলা হয়েছে:
“আল্লাহ যদি তোমাকে বিপদে ফেলেন, তবে তিনি ছাড়া কেউ তা দূর করতে পারবে না। আর তিনি যদি কল্যাণ দিতে চান, তবে কেউ তা ঠেকাতে পারবে না। তিনিই সব কিছুর উপরে ক্ষমতাবান।”

আল্লাহ আরও বলেন:“তোমরা যখন পানিতে বা স্থলে বিপদে পড়ো, তখন আমাকে ডেকো বিনয়ের সাথে। যদি আমি রক্ষা করি, তাহলে কৃতজ্ঞদের একজন হবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে।”একজন সাচ্চা মুসলমান বিশ্বাস করেন—আল্লাহই সব বিপদ থেকে রক্ষা করেন। তাই আমরা যখন কষ্টে থাকি, তখন আমাদের উচিত তাঁর কাছে মন থেকে দোয়া করা।

আল্লাহ বলেন,তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।”বিপদে পড়লে রাসুল (সা.) যেসব দোয়া করতেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো:

> “ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ।”অর্থ: হে চিরঞ্জীব, হে শক্তিধর! আমি তোমার দয়ার সাহায্য চাই।

 

আরেকটি দোয়া হলো হজরত ইউনুস (আ.)-এর দোয়া, যখন তিনি মাছের পেটে ছিলেন:> “লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।”
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই, তুমি পবিত্র। আমি অন্যায়কারীদের একজন ছিলাম।

 

রাসুল (সা.) বলেছেন, এই দোয়া কেউ মন থেকে পড়লে, আল্লাহ অবশ্যই তার ডাকে সাড়া দেন।

কীভাবে বিপদ থেকে বাঁচা যায়?আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখা,নিয়মিত দোয়া করা,গুনাহ থেকে দূরে থাকা,রাসুল (সা.)-এর দেখানো পথে চলা,মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা

হজরত খাদিজা (রা.) রাসুল (সা.)-কে একবার বলেছিলেন:“আল্লাহ কখনও আপনাকে অসম্মান করবেন না। আপনি তো আত্মীয়তার সম্পর্ক রাখেন, দুঃখীদের সাহায্য করেন, অতিথি আপ্যায়ন করেন, দরিদ্রদের পাশে থাকেন।”

রাসুল (সা.) বলেছেন:“যে কেউ তার ভাইয়ের বিপদ দূর করে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার বিপদ দূর করবেন।”

শেষ কথা:বিপদে হাল ছেড়ে দেওয়ার কিছু নেই। বরং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে, মন থেকে দোয়া করে, ভালো কাজ করে, মানুষকে সাহায্য করে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই ইনশাআল্লাহ তিনি আমাদের সংকট থেকে রক্ষা করবেন।

 

ঢাকাভয়েস২৪/সাদিক

ট্যাগস :

সব প্রস্তাবে একমত হতে বললে আলোচনার জন্য ‘ডাকা হলো’ কেন: সালাহউদ্দিন

একমাত্র আল্লাহই সব বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারেন

আপডেট সময় ০১:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

ঢাকাভয়েস ডেস্ক: জীবনে কখনো না কখনো সবাই বিপদে পড়ে। কষ্ট, দুশ্চিন্তা, দারিদ্র্য—এসব মানুষের মন ও শরীরকে ভেঙে দেয়। এমনকি পরিবার, সমাজ ও দেশের ওপরও এর প্রভাব পড়ে।এই সময় একজন মুসলমানের উচিত আল্লাহর কথা মনে করা। কোরআনে বলা হয়েছে:
“আল্লাহ যদি তোমাকে বিপদে ফেলেন, তবে তিনি ছাড়া কেউ তা দূর করতে পারবে না। আর তিনি যদি কল্যাণ দিতে চান, তবে কেউ তা ঠেকাতে পারবে না। তিনিই সব কিছুর উপরে ক্ষমতাবান।”

আল্লাহ আরও বলেন:“তোমরা যখন পানিতে বা স্থলে বিপদে পড়ো, তখন আমাকে ডেকো বিনয়ের সাথে। যদি আমি রক্ষা করি, তাহলে কৃতজ্ঞদের একজন হবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে।”একজন সাচ্চা মুসলমান বিশ্বাস করেন—আল্লাহই সব বিপদ থেকে রক্ষা করেন। তাই আমরা যখন কষ্টে থাকি, তখন আমাদের উচিত তাঁর কাছে মন থেকে দোয়া করা।

আল্লাহ বলেন,তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।”বিপদে পড়লে রাসুল (সা.) যেসব দোয়া করতেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো:

> “ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ।”অর্থ: হে চিরঞ্জীব, হে শক্তিধর! আমি তোমার দয়ার সাহায্য চাই।

 

আরেকটি দোয়া হলো হজরত ইউনুস (আ.)-এর দোয়া, যখন তিনি মাছের পেটে ছিলেন:> “লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।”
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই, তুমি পবিত্র। আমি অন্যায়কারীদের একজন ছিলাম।

 

রাসুল (সা.) বলেছেন, এই দোয়া কেউ মন থেকে পড়লে, আল্লাহ অবশ্যই তার ডাকে সাড়া দেন।

কীভাবে বিপদ থেকে বাঁচা যায়?আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখা,নিয়মিত দোয়া করা,গুনাহ থেকে দূরে থাকা,রাসুল (সা.)-এর দেখানো পথে চলা,মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা

হজরত খাদিজা (রা.) রাসুল (সা.)-কে একবার বলেছিলেন:“আল্লাহ কখনও আপনাকে অসম্মান করবেন না। আপনি তো আত্মীয়তার সম্পর্ক রাখেন, দুঃখীদের সাহায্য করেন, অতিথি আপ্যায়ন করেন, দরিদ্রদের পাশে থাকেন।”

রাসুল (সা.) বলেছেন:“যে কেউ তার ভাইয়ের বিপদ দূর করে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার বিপদ দূর করবেন।”

শেষ কথা:বিপদে হাল ছেড়ে দেওয়ার কিছু নেই। বরং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে, মন থেকে দোয়া করে, ভালো কাজ করে, মানুষকে সাহায্য করে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই ইনশাআল্লাহ তিনি আমাদের সংকট থেকে রক্ষা করবেন।

 

ঢাকাভয়েস২৪/সাদিক