ঢাকা ০৫:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের Logo চলছে ভোট গণনা ,ভিড় বেড়েছে শাহবাগে, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী Logo শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ Logo তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী Logo ভোটকেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করছে ছাত্রদল : নুরুল ইসলাম সাদ্দাম Logo ডাকসু নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতির লাইভ শেষে সাংবাদিকের মৃত্যু Logo দুপুরের মধ্যেই অধিকাংশ ভোট কাস্ট, চাপ নেই ভোটারের Logo আপনি পদত্যাগ করলে আমার কী, নারী সহকারী প্রক্টরকে তানভির বারী হামিম Logo আপনি পদত্যাগ করলে আমার কী, নারী সহকারী প্রক্টরকে হামিম Logo সাদিক-ফরহাদের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ আবিদুলের

নারায়ণগঞ্জে বাম জোটের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটায় আহত ১৫

নির্বাচনের তফসিল বাতিল ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ডাকা আধা বেলা হরতাল সমর্থনে নারায়ণগঞ্জে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় এ ঘটনায় জোটের অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে নগরীতে হরতাল সমর্থনে মিছিল বের করে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মিছিল নিয়ে নিতাইগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগ্‌বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পুলিশ বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তাঁদের ব্যানার কেড়ে নিয়ে যায়।

জোটের নেতারা বলছেন, পুলিশের লাঠিপেটায় জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান, সিপিবি নেতা শরৎ মণ্ডল, নুরুল ইসলাম, ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, জেলা কমিটির সদস্য জিহাদ হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সহসাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সংগঠনের অর্থ সম্পাদক খোরশেদ আলমসহ ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

জেলা সিপিবি সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, হরতাল সমর্থনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা চালিয়ে ব্যানার কেড়ে নিয়ে তাঁদের বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে। পুলিশের লাঠিপেটায় তিনিসহ তাঁদের ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের সবাইকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। পুলিশ রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হয়ে বিনা উসকানিতে যেভাবে রাজনৈতিক দলের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে লাঠিপেটা করেছে, তা নজিরবিহীন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও এমন হামলা হয়নি। পুলিশ আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে তাঁদের ওপর চড়াও হয়ে এ হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, হরতালে সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে। পুলিশের ধাওয়ায় কেউ পড়ে গিয়ে আহত হতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের

নারায়ণগঞ্জে বাম জোটের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটায় আহত ১৫

আপডেট সময় ০১:৪৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

নির্বাচনের তফসিল বাতিল ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ডাকা আধা বেলা হরতাল সমর্থনে নারায়ণগঞ্জে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় এ ঘটনায় জোটের অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে নগরীতে হরতাল সমর্থনে মিছিল বের করে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মিছিল নিয়ে নিতাইগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগ্‌বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পুলিশ বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তাঁদের ব্যানার কেড়ে নিয়ে যায়।

জোটের নেতারা বলছেন, পুলিশের লাঠিপেটায় জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান, সিপিবি নেতা শরৎ মণ্ডল, নুরুল ইসলাম, ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, জেলা কমিটির সদস্য জিহাদ হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সহসাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সংগঠনের অর্থ সম্পাদক খোরশেদ আলমসহ ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

জেলা সিপিবি সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, হরতাল সমর্থনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা চালিয়ে ব্যানার কেড়ে নিয়ে তাঁদের বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে। পুলিশের লাঠিপেটায় তিনিসহ তাঁদের ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের সবাইকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। পুলিশ রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হয়ে বিনা উসকানিতে যেভাবে রাজনৈতিক দলের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে লাঠিপেটা করেছে, তা নজিরবিহীন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও এমন হামলা হয়নি। পুলিশ আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে তাঁদের ওপর চড়াও হয়ে এ হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, হরতালে সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে। পুলিশের ধাওয়ায় কেউ পড়ে গিয়ে আহত হতে পারে।