ঢাকা ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ৬৩০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর Logo ভাষা আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম স্যারের জন্মবার্ষিকী আজ Logo পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে ৯ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৪ Logo ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’নিয়ে আপত্তি, পুনর্বিবেচনা করছে সরকার Logo ৮৫ বছরে পদার্পণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস Logo মুন্সিগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪ আহত ১৬ Logo টিভিতে যে খেলা দেখবেন আজ Logo বর্ণিল আয়োজনে ঢাকাস্থ হাতিয়া ফোরাম এর ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo ভাঙা হলো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, নির্মান হবে জুলাই ‘গণমিনার’

ভাঙা হলো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, নির্মান হবে জুলাই ‘গণমিনার’

ভাঙা হলো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, নির্মান হবে জুলাই ‘গণমিনার’

রাজধানীর বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙা হয় ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন। এবার সেই ভাস্কর্যকে ঘিরে থাকা ম্যুরাল সংবলিত সাতটি দেয়ালও ভেঙে ফেলেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ নামে এই ম্যুরালের জায়গাটিকে উন্মুক্ত স্থান করা হবে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। তবে এরই মধ্যে সেখানে ‘গণমিনার’ নির্মাণ করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল থেকেই ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ ভাঙার কাজ শুরু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ এই স্থাপনাটি ভেঙে ফেলার ঘটনায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কেউ কেউ একে ‘ইতিহাস মুছে ফেলার প্রয়াস’ বলেও মন্তব্য করেন।

২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ প্রাঙ্গণ উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্যসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন অধ্যায় তুলে ধরা সাতটি দেয়াল নিয়ে গঠিত ছিল। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়। এরপর থেকে ওই স্থানটি একরকম পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এখন বাকি অংশও পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হলো।

এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণপ্রতিরোধ ও আত্মত্যাগের স্মৃতিকে অম্লান রাখতে বিজয় সরণিতে ‘গণমিনার’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে ২০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি’ জানায়, এই উদ্যোগে গণমানুষের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে গণচাঁদা সংগ্রহের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন, আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের স্মরণেই নির্মিত হবে গণমিনার।’ আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে এর একটি দৃশ্যমান রূপ দিতে চায় কমিটি।

নির্মাণ কমিটির আরেক সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খোরশেদ আলম। আজ শুক্রবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনায় পুরো বিজয় সরণিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি কয়েক ধাপে সম্পন্ন হবে।’

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ৬৩০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর

ভাঙা হলো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, নির্মান হবে জুলাই ‘গণমিনার’

আপডেট সময় ১১:১৮:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

রাজধানীর বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙা হয় ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন। এবার সেই ভাস্কর্যকে ঘিরে থাকা ম্যুরাল সংবলিত সাতটি দেয়ালও ভেঙে ফেলেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ নামে এই ম্যুরালের জায়গাটিকে উন্মুক্ত স্থান করা হবে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। তবে এরই মধ্যে সেখানে ‘গণমিনার’ নির্মাণ করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল থেকেই ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ ভাঙার কাজ শুরু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ এই স্থাপনাটি ভেঙে ফেলার ঘটনায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কেউ কেউ একে ‘ইতিহাস মুছে ফেলার প্রয়াস’ বলেও মন্তব্য করেন।

২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ প্রাঙ্গণ উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্যসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন অধ্যায় তুলে ধরা সাতটি দেয়াল নিয়ে গঠিত ছিল। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়। এরপর থেকে ওই স্থানটি একরকম পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এখন বাকি অংশও পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হলো।

এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণপ্রতিরোধ ও আত্মত্যাগের স্মৃতিকে অম্লান রাখতে বিজয় সরণিতে ‘গণমিনার’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে ২০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি’ জানায়, এই উদ্যোগে গণমানুষের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে গণচাঁদা সংগ্রহের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন, আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের স্মরণেই নির্মিত হবে গণমিনার।’ আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে এর একটি দৃশ্যমান রূপ দিতে চায় কমিটি।

নির্মাণ কমিটির আরেক সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খোরশেদ আলম। আজ শুক্রবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনায় পুরো বিজয় সরণিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি কয়েক ধাপে সম্পন্ন হবে।’