ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জ্বালানি তেলের বাজারে দরপতনের ইঙ্গিত

ইরান ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও সপ্তাহ শেষে কমতির দিকেই যাচ্ছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি মেনে চলায় মধ্যপ্রাচ্যে তেল সরবরাহ নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল, তা অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক কমে আসায় দামও পড়তে শুরু করেছে।

তবে আজ শুক্রবার (২৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মকালীন ড্রাইভিং মৌসুম শুরু হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে। এর প্রভাবে দিনের শেষে বাজার কিছুটা চাঙ্গা দেখা গেছে।

শুক্রবার (জিএমটি সময় অনুযায়ী ১:১১টায়) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি ব্যারেল ৬৮.০৭ ডলার যা আগের দিনের তুলনায় ৩৪ সেন্ট বা ০.৫ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫.৫৭ ডলারে, যা ৩৩ সেন্ট বা ০.৫১ শতাংশ বৃদ্ধি।

এর আগে মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি হয়েছে। এই ঘোষণার পর বাজারে তেলের দাম এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রকাশিত এক সরকারি প্রতিবেদনে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে তেল ও জ্বালানি মজুদের পরিমাণ কমেছে। পরিশোধন কার্যক্রম ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ায় বাজারে আবার কিছুটা গতি ফেরে।

এ বিষয়ে প্রাইস ফিউচারস গ্রুপের বিশ্লেষক ফিল ফ্লিন বলেন, ‘বাজার এখন উপলব্ধি করছে যে হঠাৎ করেই অপরিশোধিত তেলের মজুদ সংকটজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।’

তেলের দামে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে ডলারও। বৃহস্পতিবার ডলারের সূচক তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছে। কারণ হিসেবে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের নতুন প্রধান খুব শিগগিরই নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন, এমন খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সুদের হার কমার সম্ভাবনায় ডলারের মান পড়ে যায়।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের ফলাফল আমাদের সামনে শান্তির নতুন সুযোগ তৈরি করেছে, যা হাতছাড়া করা যাবে না।’ তার এই বক্তব্যে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে নতুন করে আর কোনো বড় ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে না বলে বাজার আশ্বস্ত হয়েছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, যুদ্ধবিরতি ও মজুদের সাময়িক ঘাটতি মিলিয়ে বাজার কিছুটা চাঙা থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে তেলের দামে বড় ধরনের উত্থান দেখা না-ও যেতে পারে।

সূত্রে: রয়টার্স

ট্যাগস :

ইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে বিশৃঙ্খলা: সেনবাগ ছাত্রদল সভাপতি বহিষ্কার

জ্বালানি তেলের বাজারে দরপতনের ইঙ্গিত

আপডেট সময় ১১:২৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ইরান ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও সপ্তাহ শেষে কমতির দিকেই যাচ্ছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি মেনে চলায় মধ্যপ্রাচ্যে তেল সরবরাহ নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল, তা অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক কমে আসায় দামও পড়তে শুরু করেছে।

তবে আজ শুক্রবার (২৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মকালীন ড্রাইভিং মৌসুম শুরু হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে। এর প্রভাবে দিনের শেষে বাজার কিছুটা চাঙ্গা দেখা গেছে।

শুক্রবার (জিএমটি সময় অনুযায়ী ১:১১টায়) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি ব্যারেল ৬৮.০৭ ডলার যা আগের দিনের তুলনায় ৩৪ সেন্ট বা ০.৫ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫.৫৭ ডলারে, যা ৩৩ সেন্ট বা ০.৫১ শতাংশ বৃদ্ধি।

এর আগে মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি হয়েছে। এই ঘোষণার পর বাজারে তেলের দাম এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রকাশিত এক সরকারি প্রতিবেদনে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে তেল ও জ্বালানি মজুদের পরিমাণ কমেছে। পরিশোধন কার্যক্রম ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ায় বাজারে আবার কিছুটা গতি ফেরে।

এ বিষয়ে প্রাইস ফিউচারস গ্রুপের বিশ্লেষক ফিল ফ্লিন বলেন, ‘বাজার এখন উপলব্ধি করছে যে হঠাৎ করেই অপরিশোধিত তেলের মজুদ সংকটজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।’

তেলের দামে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে ডলারও। বৃহস্পতিবার ডলারের সূচক তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছে। কারণ হিসেবে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের নতুন প্রধান খুব শিগগিরই নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন, এমন খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সুদের হার কমার সম্ভাবনায় ডলারের মান পড়ে যায়।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের ফলাফল আমাদের সামনে শান্তির নতুন সুযোগ তৈরি করেছে, যা হাতছাড়া করা যাবে না।’ তার এই বক্তব্যে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে নতুন করে আর কোনো বড় ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে না বলে বাজার আশ্বস্ত হয়েছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, যুদ্ধবিরতি ও মজুদের সাময়িক ঘাটতি মিলিয়ে বাজার কিছুটা চাঙা থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে তেলের দামে বড় ধরনের উত্থান দেখা না-ও যেতে পারে।

সূত্রে: রয়টার্স