ঢাকা ০৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo Free Roulette Simulation On the web Play for Free ️ Logo আত্মসমর্পণ শব্দটি আমাদের শব্দভাণ্ডারে নেই: আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি Logo শেখ হাসিনার পরিবারের নামে ৯৭৭ স্থাপনা, অধিকাংশের নাম পরিবর্তন Logo এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের ‘হেল্প ডেস্ক’ Logo রাবি সংস্কার ও রাকসু নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রশিবিরের ‘স্টুডেন্ট সলিডারিটি’ Logo ছাত্রলীগ পুনর্বাসনে কাজ করছে শিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ: ছাত্রদল সভাপতি Logo চৌদ্দগ্রামে বৈষম্যহীন উন্নয়নের অঙ্গীকার ডা. তাহেরের Logo ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন হয়েছে: আদালতে স্বীকারোক্তি হাবিবুল আউয়ালের Logo আমরা যুক্তরাষ্ট্রের গালে কঠিন চড় মেরেছি: খামেনি Logo সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

খামেনির অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা, উদ্বিগ্ন ইরানিরা

 

ঢাকাভয়েস ডেক্স: ইরান ও ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছে। উভয় দেশই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে ইরানিদের মধ্যে একটি বিষয়ে ব্যাপক উদ্বিগ্ন দেখা দিয়েছে যে, তাদের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায়?

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনিকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি বা তার কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি শোনা যায়নি, এমনকি দেশে যুদ্ধাবস্থার মধ্যেও না।

এনিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের উপস্থাপক খামেনির কার্যালয়ের এক কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করেন, দেশের রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অভিজাতদের মধ্যেও আলোচনার কেন্দ্রে- ‘মানুষ আমাদের সর্বোচ্চ নেতাকে নিয়ে খুবই চিন্তিত’।

মঙ্গলবার ওই উপস্থাপক খামেনির আর্কাইভস অফিসের প্রধান কর্মকর্তা মেহদি ফাযায়েলিকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি আমাদের বলতে পারবেন খামেনি কেমন আছেন। এই উপস্থাপক জানান, একই প্রশ্ন নিয়ে দর্শকদের কাছ থেকে অসংখ্য বার্তা এসেছে।

এর জবাবে মেহদি ফাযায়েলি সোজাসুজি জবাব না দিয়ে উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তীব্র বোমা হামলার পর তিনিও বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মকর্তা ও নাগরিকদের কাছ থেকে অসংখ্য উদ্বিগ্ন প্রশ্ন পেয়েছেন।

ইরানের এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের সবার উচিৎ প্রার্থনা করা। মেহদি বলেন, যারা সর্বোচ্চ নেতাকে রক্ষা করার দায়িত্বে আছেন, তারা ভালোভাবেই তাদের কাজ করছেন। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমাদের জনগণ তাদের নেতার পাশেই বিজয় উদযাপন করতে পারবে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে খামেনিকে সুরক্ষিত একটি বাঙ্কারে অবস্থান করছেন এবং সম্ভাব্য হত্যা প্রচেষ্টা ঠেকাতে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক যোগাযোগ করছেন না।

 

খামেনির অনুপস্থিতি ঘিরে ইরানিদের মধ্যে জল্পনা বেড়েছে

দৈনিক খানেমান’র প্রধান সম্পাদক মোহসেন খালিফেহ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এই দীর্ঘ অনুপস্থিতি আমাদের সকলকে ভীষণ চিন্তিত করে তুলেছে। তিনি স্বীকার করলেন, যে চিন্তা দুই সপ্তাহ আগেও অকল্পনীয় ছিল- ‘যদি সত্যিই খামেনি মারা যান, তবে সেটি হবে ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় জানাজা।’

ইরানের বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে খামেনির অনুমোদন নিতে হয়। সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবেও তিনি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা বা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মতো সামরিক সিদ্ধান্ত অনুমোদনের একমাত্র ক্ষমতাধর।

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে এবং কাতারের আমিরের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু ইরানের সিনিয়র সামরিক কমান্ডার এবং সরকারি কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে খামেনির সঙ্গে দেখা করেছেন বা কথা বলেছেন কি না তা নিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন।

তাই খামেনির নীরবতা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে যে দেশটির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলোতে তিনি আদৌ জড়িত ছিলেন কি, তিনি প্রতিদিনকার রাষ্ট্রপরিচালনায় এখনো সক্রিয়? তিনি অসুস্থ, আহত, নাকি মারা গেছেন?

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ইসলামিক রেভ্যলুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কমান্ডার ইয়াহিয়া সাফাভির পুত্র হামজেহ সাফাভি জানান, ইরানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ধারণা ইসরায়েল এখনো খামেনিকে হত্যা করার চেষ্টা করতে পারে- এমনকি যুদ্ধবিরতির মাঝেও। তাই খামেনিকে বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন রেখে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

ঢাকাভয়েস২৪/ সাইদক

ট্যাগস :

Free Roulette Simulation On the web Play for Free ️

খামেনির অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা, উদ্বিগ্ন ইরানিরা

আপডেট সময় ০২:১১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

ঢাকাভয়েস ডেক্স: ইরান ও ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছে। উভয় দেশই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে ইরানিদের মধ্যে একটি বিষয়ে ব্যাপক উদ্বিগ্ন দেখা দিয়েছে যে, তাদের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায়?

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনিকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি বা তার কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি শোনা যায়নি, এমনকি দেশে যুদ্ধাবস্থার মধ্যেও না।

এনিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের উপস্থাপক খামেনির কার্যালয়ের এক কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করেন, দেশের রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অভিজাতদের মধ্যেও আলোচনার কেন্দ্রে- ‘মানুষ আমাদের সর্বোচ্চ নেতাকে নিয়ে খুবই চিন্তিত’।

মঙ্গলবার ওই উপস্থাপক খামেনির আর্কাইভস অফিসের প্রধান কর্মকর্তা মেহদি ফাযায়েলিকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি আমাদের বলতে পারবেন খামেনি কেমন আছেন। এই উপস্থাপক জানান, একই প্রশ্ন নিয়ে দর্শকদের কাছ থেকে অসংখ্য বার্তা এসেছে।

এর জবাবে মেহদি ফাযায়েলি সোজাসুজি জবাব না দিয়ে উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তীব্র বোমা হামলার পর তিনিও বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মকর্তা ও নাগরিকদের কাছ থেকে অসংখ্য উদ্বিগ্ন প্রশ্ন পেয়েছেন।

ইরানের এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের সবার উচিৎ প্রার্থনা করা। মেহদি বলেন, যারা সর্বোচ্চ নেতাকে রক্ষা করার দায়িত্বে আছেন, তারা ভালোভাবেই তাদের কাজ করছেন। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমাদের জনগণ তাদের নেতার পাশেই বিজয় উদযাপন করতে পারবে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে খামেনিকে সুরক্ষিত একটি বাঙ্কারে অবস্থান করছেন এবং সম্ভাব্য হত্যা প্রচেষ্টা ঠেকাতে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক যোগাযোগ করছেন না।

 

খামেনির অনুপস্থিতি ঘিরে ইরানিদের মধ্যে জল্পনা বেড়েছে

দৈনিক খানেমান’র প্রধান সম্পাদক মোহসেন খালিফেহ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এই দীর্ঘ অনুপস্থিতি আমাদের সকলকে ভীষণ চিন্তিত করে তুলেছে। তিনি স্বীকার করলেন, যে চিন্তা দুই সপ্তাহ আগেও অকল্পনীয় ছিল- ‘যদি সত্যিই খামেনি মারা যান, তবে সেটি হবে ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় জানাজা।’

ইরানের বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে খামেনির অনুমোদন নিতে হয়। সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবেও তিনি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা বা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মতো সামরিক সিদ্ধান্ত অনুমোদনের একমাত্র ক্ষমতাধর।

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে এবং কাতারের আমিরের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু ইরানের সিনিয়র সামরিক কমান্ডার এবং সরকারি কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে খামেনির সঙ্গে দেখা করেছেন বা কথা বলেছেন কি না তা নিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন।

তাই খামেনির নীরবতা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে যে দেশটির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলোতে তিনি আদৌ জড়িত ছিলেন কি, তিনি প্রতিদিনকার রাষ্ট্রপরিচালনায় এখনো সক্রিয়? তিনি অসুস্থ, আহত, নাকি মারা গেছেন?

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ইসলামিক রেভ্যলুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কমান্ডার ইয়াহিয়া সাফাভির পুত্র হামজেহ সাফাভি জানান, ইরানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ধারণা ইসরায়েল এখনো খামেনিকে হত্যা করার চেষ্টা করতে পারে- এমনকি যুদ্ধবিরতির মাঝেও। তাই খামেনিকে বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন রেখে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

ঢাকাভয়েস২৪/ সাইদক