ভোলা সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের (Zoology, ৩য় বর্ষ) শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতা (SA Êspita)-র রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উঠছে একের পর এক প্রশ্ন।
গত ১৭ জুন কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া এই শিক্ষার্থীর মরদেহ ২১ জুন উদ্ধার করা হয় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমণী মোহন এলাকার বুড়ির ঘাট সংলগ্ন নদী থেকে।
জানা গেছে, ইপ্সিতা ২০২৪ সালের আগস্টে ভোলা কলেজ ছাত্রদলে যোগ দেন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আচরণে বিরক্ত হয়ে তিনি সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেন।
রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার পরপরই মৃত্যু, নেপথ্যে কী? এ নিয়ে এলাকায় জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।
রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা ফেসবুকে নিজেই পোস্ট করেন সেখানে তিনি খুব আক্ষেপের সাথে বলেন “আমি রাজনীতিকে আমার মত সহজ সরল মনে করেছি। রাজনীতি যে এত জটিল তা আজ উপলব্ধি করলাম। আমার মতো সফ্ট হার্টের মানুষের জন্য রাজনীতি না ।
এরপর থেকেই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে জানা যায়।
তবে তার মৃত্যুর ঘটনায় উঠেছে গুরুতর অভিযোগ— তার পরিবারের বলছে কর্ণফুলী-৪ লঞ্চে তাকে ধর্ষণ করা হয়, এরপর নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশের পর্যবেক্ষনের পর জানান আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তার মরদেহে আর তার বান্ধবী ইমা শিকদার সহ লঞ্চের স্টাফ ও রাজনৈতিক সহযাত্রীদের ভূমিকা সন্দেহজনক।
এ নিয়ে ইপ্সিতার মৃত্যুর পর দেশজুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন মহলে নিন্দার ঝড় উঠলেও, ভোলা জেলা ছাত্রদল ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো শোকবার্তায় কেন্দ্রীয় দল বলেছে ইস্পিতা ধর্ষণের শিকার হয়ে নদীতে ঝাপ দিয়েছে এবং ভোলা কলেজ ছাত্র দলের বার্তায় বলা হয়েছে ঝড় চলা কালীন নদীতে পরে যায়। অথচ মৃত ইপ্সিতা ছিলেন ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী এবং কলেজের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
সূত্রে জানা গেছে, ভোলা জেলা ছাত্রদলের এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে ইপ্সিতার সম্পর্ক ছিল। পরে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন তিনি।
ঘটনার দিন তার বান্ধবীসহ(তার বান্ধবী তাকে নিয়ে আসছে) ছাত্রদলের দুই নেতার সঙ্গে কর্ণফুলী-৪ লঞ্চে যাত্রায় ওঠেন ইপ্সিতা।
এ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে ।
পুলিশ ইপ্সিতার মরদেহ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনার পেছনে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোর আইনি পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে।
ইপ্সিতার এক আত্মীয় জানান:”আমরা এর সঠিক বিচার চাই। এটা কোনো আত্মহত্যা নয়। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।”