ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের ইতি টানার ঘোষণা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার বিষয়ে তেহরান বা তেল আবিবের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এই ঘোষণাকে কেবল ট্রাম্পের “দাবি” হিসেবে উল্লেখ করেছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে তেহরানের বিভিন্ন জেলার তিনটি জায়গা খালি করার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলে প্রতিরক্ষা বাহিনী। পরে ইরানজুড়ে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের খবরও পাওয়া গেছে। ইরানে এখন গভীর রাত, ট্রাম্পের ঘোষণায় বলা হয়েছে যে যুদ্ধবিরতি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শুরু হবে না। এখন দেখার বিষয় উভয় পক্ষ কখন ঘোষণা দিয়ে হামলা পাল্টা হামলা বন্ধ করে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তেহরানকে রাজি করাতে মধ্যস্থতা করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানির সঙ্গে ইরানের কর্মকর্তাদের ফোনালাপের মাধ্যমেই তেহরানের সম্মতি আদায় হয়েছে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের আমিরকে জানান, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে এবং তেহরানকে রাজি করাতে দোহার সহায়তা চান।
সূত্র : বিবিসি