ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo গাজীপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা, তীব্র নিন্দা জামায়াতের Logo সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন রুশনারা আলী Logo লালপুরে প্রাইভেটকার থেকে নামিয়ে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা Logo তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরবেন তারেক রহমান Logo বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা Logo ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৪ বছরের কিশোর রুবেল বাঁচতে চায় Logo কারামতিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রাবাস নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo বাংলাদেশে শরিয়তবিরোধী কোনো আইন প্রণীত হবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ Logo তিন শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রশিবিরের নবীন বরণ অনুষ্ঠান

দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু — বিএনপির ভেতরে উত্তাল পরিস্থিতি!

ঢাকাভয়েস ডেক্স:নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদল-বিএনপি নেতাকর্মীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন। গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর বাবা।

নিহত ঈসমাইল হোসেন পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে পরিচিত।

আব্দুর রহিম ভূঁইয়া জানান, শনিবার দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর ছেলে ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন। এ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন বলেন, নিহত ঈসমাইল হোসেন তাদের কর্মী ছিলেন। জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তাঁর লোকজনের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, গত ১৫ জুন ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জুয়েলের লোকজন হামলা ও গুলি চালায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিন্দার পাশাপাশি ইসমাইল হত্যায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

পলাশ থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, গুলিবিদ্ধ ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের এখনও জানায়নি। বিষয়টি জানানোর পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন সন্ধ্যার দিকে পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ছাড়া ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে আহত ঈসমাইলকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছয় দিন পর শনিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

এ ঘটনায় গত ১৫ জুন রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে বিএনপি নেতা ফজলুর কবির জুয়েলসহ ৯ জনের নামে মামলা করেন। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ৪০ থেকে ৫০ জনকে। পরে জুয়েলের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা করা হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে আসামি ফজলুল কবির জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকাভয়েস২৪/সাদিক

জনপ্রিয় সংবাদ

মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু — বিএনপির ভেতরে উত্তাল পরিস্থিতি!

আপডেট সময় ০৫:৩৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ঢাকাভয়েস ডেক্স:নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদল-বিএনপি নেতাকর্মীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন। গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর বাবা।

নিহত ঈসমাইল হোসেন পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে পরিচিত।

আব্দুর রহিম ভূঁইয়া জানান, শনিবার দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর ছেলে ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন। এ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন বলেন, নিহত ঈসমাইল হোসেন তাদের কর্মী ছিলেন। জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তাঁর লোকজনের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, গত ১৫ জুন ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জুয়েলের লোকজন হামলা ও গুলি চালায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিন্দার পাশাপাশি ইসমাইল হত্যায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

পলাশ থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, গুলিবিদ্ধ ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের এখনও জানায়নি। বিষয়টি জানানোর পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন সন্ধ্যার দিকে পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ছাড়া ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে আহত ঈসমাইলকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছয় দিন পর শনিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

এ ঘটনায় গত ১৫ জুন রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে বিএনপি নেতা ফজলুর কবির জুয়েলসহ ৯ জনের নামে মামলা করেন। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ৪০ থেকে ৫০ জনকে। পরে জুয়েলের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা করা হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে আসামি ফজলুল কবির জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকাভয়েস২৪/সাদিক