ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক নিশ্চিত করা সরকারের বড় সাফল্য: প্রেস সচিব Logo সিরাজগঞ্জে ৫০০ পরিবার পেল দোস্ত এইডের খাদ্য সামগ্রী Logo ফের নাফ নদী থেকে ট্রলারসহ ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি Logo ডাকসু নির্বাচনে বাধা এলে সবাইকে ডেকে সবকিছু বলে দেব: ঢাবি উপাচার্য Logo কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলাতে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে বাসভবনে যাবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী Logo বিধিমালা ভঙ্গের পরও হামীমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন: বাকের Logo জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে: জি কে গউছ Logo মুন্সীগঞ্জে ছাত্রশিবিরের “A+ সংবর্ধনা” অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্দীপনা Logo এখন জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হওয়ার স্বপ্ন দেখছে: নুর

বগুড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন গ্রেপ্তার

বগুড়ার আলোচিত যুবলীগ নেতা, পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং কথিত ‘অপরাধ জগতের গডফাদার’ আব্দুল মতিন সরকারকে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

গত শনিবার (২১ জুন) রাত ১১টার দিকে একটি ফ্ল্যাটবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবির ওসি মো. ইকবাল বাহারের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মতিন সরকারকে আটক করা হয়। তিনি ঢাকায় ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেফতারের পর রাত ১২টার দিকে তাকে বগুড়ার উদ্দেশে নিয়ে রওনা দেয় ডিবি টিম। আজ (রোববার) তাকে আদালতে হাজির করা হতে পারে।

পঞ্চাশ বছর বয়সী আব্দুল মতিন সরকারের স্থায়ী ঠিকানা বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর চামড়া গুদাম এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বগুড়ায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমিদখল, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত দুটি হত্যা মামলাসহ তার বিরুদ্ধে বর্তমানে প্রায় ২০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, “আব্দুল মতিন সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাকে ধরতে আমাদের টিম দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করে আসছিল। অবশেষে সফলভাবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে তোলা হবে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মতিন সরকারের নেতৃত্বে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। তার প্রভাবের কারণে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পেত না। সম্প্রতি বগুড়ায় সংঘটিত কয়েকটি সহিংস ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন তিনি।

মতিন সরকারের গ্রেপ্তারের খবরে শহরে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বগুড়ার অপরাধ জগতে বড় ধরণের ধাক্কা লেগেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, মতিন সরকারের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর পাশাপাশি নতুন করে তদন্ত শুরু হবে। তিনি অপরাধ চক্রে যত গভীরভাবে জড়িত থাকুন না কেন, প্রত্যেকটি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বহুল আলোচিত গ্রেপ্তার বগুড়ার রাজনীতি ও অপরাধ জগতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় অপরাধ জগতের যে শক্ত ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল, তা ভাঙার জন্য এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক নিশ্চিত করা সরকারের বড় সাফল্য: প্রেস সচিব

বগুড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৮:৫২:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

বগুড়ার আলোচিত যুবলীগ নেতা, পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং কথিত ‘অপরাধ জগতের গডফাদার’ আব্দুল মতিন সরকারকে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

গত শনিবার (২১ জুন) রাত ১১টার দিকে একটি ফ্ল্যাটবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবির ওসি মো. ইকবাল বাহারের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মতিন সরকারকে আটক করা হয়। তিনি ঢাকায় ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেফতারের পর রাত ১২টার দিকে তাকে বগুড়ার উদ্দেশে নিয়ে রওনা দেয় ডিবি টিম। আজ (রোববার) তাকে আদালতে হাজির করা হতে পারে।

পঞ্চাশ বছর বয়সী আব্দুল মতিন সরকারের স্থায়ী ঠিকানা বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর চামড়া গুদাম এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বগুড়ায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমিদখল, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত দুটি হত্যা মামলাসহ তার বিরুদ্ধে বর্তমানে প্রায় ২০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, “আব্দুল মতিন সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাকে ধরতে আমাদের টিম দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করে আসছিল। অবশেষে সফলভাবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে তোলা হবে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মতিন সরকারের নেতৃত্বে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। তার প্রভাবের কারণে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পেত না। সম্প্রতি বগুড়ায় সংঘটিত কয়েকটি সহিংস ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন তিনি।

মতিন সরকারের গ্রেপ্তারের খবরে শহরে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বগুড়ার অপরাধ জগতে বড় ধরণের ধাক্কা লেগেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, মতিন সরকারের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর পাশাপাশি নতুন করে তদন্ত শুরু হবে। তিনি অপরাধ চক্রে যত গভীরভাবে জড়িত থাকুন না কেন, প্রত্যেকটি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বহুল আলোচিত গ্রেপ্তার বগুড়ার রাজনীতি ও অপরাধ জগতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় অপরাধ জগতের যে শক্ত ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল, তা ভাঙার জন্য এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।