ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo গাজীপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা, তীব্র নিন্দা জামায়াতের Logo সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন রুশনারা আলী Logo লালপুরে প্রাইভেটকার থেকে নামিয়ে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা Logo তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরবেন তারেক রহমান Logo বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা Logo ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৪ বছরের কিশোর রুবেল বাঁচতে চায় Logo কারামতিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রাবাস নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo বাংলাদেশে শরিয়তবিরোধী কোনো আইন প্রণীত হবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ Logo তিন শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রশিবিরের নবীন বরণ অনুষ্ঠান

ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত-শিবির ট্যাগ খাবেন : সারজিস

ছবি: সারজিস আলম

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘২৪-এর অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শুরু করে সব কিছু ছিল এক ব্যক্তি এবং এক দলকেন্দ্রিক। ইতিহাস মানে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ভুল ধরার সুযোগ নেই। ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত, শিবির, রাজাকার কিংবা সরকারবিরোধী, দেশবিরোধী ট্যাগ খাবেন।


শনিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়ে ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি আরো বলেন, ‘একইভাবে মাঝে মাঝে আওয়ামী লীগের কিংবা সরকারের সমালোচনা করতে পারলেও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু বলা যাবে না। শেখ হাসিনা ফেরেশতা। এটা বলার স্পর্ধা দেখালে আপনি আবার ট্যাগ খাবেন। গুম, খুন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেরও সম্মুখীন হতে পারেন।

তখন মনে হতো এমনকি কোনো সময় আসবে কিংবা এমন কিছু মানুষ কি থাকবে, যারা দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্তত ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ২০০৮ পর্যন্ত আমাদের সামনে তুলে ধরবে? সেই সুযোগ তখন ছিল না। এখন আছে।’
সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা এই প্রজন্ম চাই, ইতিহাসের এই অধ্যায়গুলোতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি; তিনি যেকোনো দল, মত, ধর্ম, বর্ণ কিংবা ক্ষেত্রের হোক না কেন, তাদের তাদের যোগ্য জায়গায় স্থান দিতে হবে। তাদের ভালো কাজগুলোকে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে হবে, সীমাবদ্ধতাগুলোকে অ্যাড্রেস করতে হবে।


তিনি বলেন, ‘যারা ইতিহাস নিয়ে কাজ করেন, গবেষণা করেন, পড়াশোনা করেন, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি বাকের এই ইতিহাসগুলোকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে বিভিন্ন পারসপেক্টিভগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরুন। জনগণ বিচার করুক কোনটা তারা গ্রহণ করবে আর কোনটা গ্রহণ করবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমেদ, জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে যাদের যতটুকু অবদান সেগুলো তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি তাদের সীমাবদ্ধতাগুলোকেও সামনে নিয়ে আসতে হবে। সেই সীমাবদ্ধতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।

কাউকে ফেরেশতা বানানোর প্রয়োজন নেই, আবার কাউকে উপেক্ষা করারও প্রয়োজন নেই। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দিতে হবে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত-শিবির ট্যাগ খাবেন : সারজিস

আপডেট সময় ০৬:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘২৪-এর অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শুরু করে সব কিছু ছিল এক ব্যক্তি এবং এক দলকেন্দ্রিক। ইতিহাস মানে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ভুল ধরার সুযোগ নেই। ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত, শিবির, রাজাকার কিংবা সরকারবিরোধী, দেশবিরোধী ট্যাগ খাবেন।


শনিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়ে ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি আরো বলেন, ‘একইভাবে মাঝে মাঝে আওয়ামী লীগের কিংবা সরকারের সমালোচনা করতে পারলেও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু বলা যাবে না। শেখ হাসিনা ফেরেশতা। এটা বলার স্পর্ধা দেখালে আপনি আবার ট্যাগ খাবেন। গুম, খুন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেরও সম্মুখীন হতে পারেন।

তখন মনে হতো এমনকি কোনো সময় আসবে কিংবা এমন কিছু মানুষ কি থাকবে, যারা দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্তত ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ২০০৮ পর্যন্ত আমাদের সামনে তুলে ধরবে? সেই সুযোগ তখন ছিল না। এখন আছে।’
সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা এই প্রজন্ম চাই, ইতিহাসের এই অধ্যায়গুলোতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি; তিনি যেকোনো দল, মত, ধর্ম, বর্ণ কিংবা ক্ষেত্রের হোক না কেন, তাদের তাদের যোগ্য জায়গায় স্থান দিতে হবে। তাদের ভালো কাজগুলোকে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে হবে, সীমাবদ্ধতাগুলোকে অ্যাড্রেস করতে হবে।


তিনি বলেন, ‘যারা ইতিহাস নিয়ে কাজ করেন, গবেষণা করেন, পড়াশোনা করেন, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি বাকের এই ইতিহাসগুলোকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে বিভিন্ন পারসপেক্টিভগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরুন। জনগণ বিচার করুক কোনটা তারা গ্রহণ করবে আর কোনটা গ্রহণ করবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমেদ, জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে যাদের যতটুকু অবদান সেগুলো তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি তাদের সীমাবদ্ধতাগুলোকেও সামনে নিয়ে আসতে হবে। সেই সীমাবদ্ধতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।

কাউকে ফেরেশতা বানানোর প্রয়োজন নেই, আবার কাউকে উপেক্ষা করারও প্রয়োজন নেই। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দিতে হবে।’