নওগাঁর ধামরহাট রক্ষিত ট্রাঙ্কের তালা খুলে উচ্চ মাধ্যমিক ( এইচএসসি) পরিক্ষার প্রশ্নপত্র বের করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালচনা শুরু হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত গঠন করা হয়েছে দুটি কমিটি। এ ছাড়াও দুজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র গুলো সংরক্ষণের জন্য ১৮ ( জুন) ধামরহাট থানায় আনা হয় এবং থানায় হাজত খানায় রাখা হয়। বৃহস্পতিবার ২০ (জুন) সকালে উপজেলা পরিক্ষা কমিটি সদস্যরা ট্রাঙ্ক পরিদর্শনে গিয়ে তালা খুলা দেখতেপান। ভিতর থেকে কিছু প্রশ্নপত্র বের করা হয়েছিল এবং বাহিরে দুটি ছেড়া প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সুপার তিন সদস্য বিশিষ্ট দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মর্ধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
ধামুরহাট সরকারি এম এম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিক্ষা কমিটি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, ট্রাঙ্কে ছিল ইতিহাস দ্বিতীয় পত্রের ৭০ নাম্বারের ৫০ টি প্রশ্নপত্র। তিনি বলেন, তালা খুলা ভিতরে হাত দেওয়া হয়েছে এটা খুবই গৃহিত ও উদ্বেগজনক।
এডিসি সাদিয়া আফরিন বলেন, “প্রশ্নপত্র সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। তবে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।” তিনি আরও জানান, তদন্ত কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে।
একাধিক সূত্র জানায়, ছাগল ব্যবসায়ী উজ্জ্বল হোসেন হত্যা মামলার আসামি সাগর হোসেন (৩০)-কে মঙ্গলবার রাতে আটক করে থানায় হাজতে রাখা হয়। সেই হাজতের পাশেই ছিল প্রশ্নপত্রের ট্রাঙ্ক। ধারণা করা হচ্ছে, সাগর হোসেনই তালা ভেঙে প্রশ্নপত্র বের করেছিলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার ধামইরহাট থানায় গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন এবং তদন্তে সহায়তা করবেন বলে জানা গেছে।