অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা সব পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বন্ধ কারখানা সংশ্লিষ্ট এলাকার শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন, শিল্প পুলিশের সঙ্গে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
এর আগে গত রবিবার পোশাক কারখানায় কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে ১৩০টি পোশাক কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দষ্টিকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘোষণার দুই দিনের মাথায় সব কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এলো। বিজিএমইএ এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আশুলিয়া এলাকার শ্রমিকরা, শ্রমিক সংগঠন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন, শিল্প পুলিশ বলেছে, আশুলিয়ার সকল বন্ধ পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজ করতে চান, শ্রমিকরাও মালিকদের আশ্বস্ত করেছেন যে কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হলে তারা সুষ্ঠুভাবে কাজ করবেন। তাই আগামীকাল ১৫ নভেম্বর আশুলিয়ার সকল বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া হবে।
বিজিএমইএর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কাশিমপুর ও কোনাবাড়ী এলাকার শ্রমিক ভাইবোন, শ্রমিক সংগঠন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন, শিল্প পুলিশ, গণমাধ্যমের কর্মীরা বলেছেন, এই (কাশিমপুর ও কোনাবাড়ী) এলাকার বন্ধ তিনটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজ করতে চান।
তাই কারখানা তিনটি খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে কাশিমপুর ও কোনাবাড়ী এলাকার সকল কারখানায় স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে।
মিরপুরের কিছু পোশাক কারখানা বন্ধ আছে। এই কারখানাগুলোতে আলোচনা চলছে।
শ্রমিক ভাইবোনরা কাজ করতে চাইলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হবে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীগুলোর প্রতি অনুরোধ, পোশাক কারখানাসহ সকল ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা প্রদান করুন, এলাকায় সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করুন। জানমালের নিরাপত্তায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। তবে এতে করে কোনো প্রিয় শ্রমিক ভাইবোন বা কর্মচারী এবং মালিক যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থেকে কাজ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। বিজিএমইএ বিশ্বাস করে, পোশাকশিল্পে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সকলেই স্ব স্ব অবস্থান থেকে শিল্পকে সহযোগিতা প্রদান সকল সময়েই অব্যাহত রাখবেন।