গত ১৭ মে সুনীল নামের একটি ছেলেকে বিয়ে করেন খুশবু নামের এক তরুণী। পরের দিন শ্বশুরবাড়িতে যান এবং সেখানে নয় দিন থাকেন তিনি। এরপর রীতি মেনে অষ্টমঙ্গলায় বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। সেখান থেকেই খুশবু নিজের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান।
এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে। স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুনীল। পুলিশ যখন তাকে খুঁজছিল, তখন গত সোমবার হাজির হন খুশবু। তিনি স্বীকার করেন যে তিনি তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
থানার ভিতরে স্বামী সুনীলের সামনেই খুশবু বলেন, ‘এখন আমি আমার প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে চাই।’ আর আশ্চর্যজনকভাবে খুশবুর এই স্ত্রীর ইচ্ছা মেনে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন থানা। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ভালই হয়েছে, আমি আরও এক রাজা রঘুবংশী হতে হতে রক্ষা পেলাম!
থানার সামনে দাঁড়িয়ে সুনীল বলেন, সে (খুশবু) বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার পর, আমি তাকে আমাদের মধুচন্দ্রিমার জন্য নৈনিতালে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু, সে যদি তার প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে চায়, আমিও খুশি।
বিজ্ঞাপন
‘ভালই হয়েছে, আমি আরেকজন রাজা রঘুবংশী হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছি! এখন আমরা তিনজনই খুশি। আমার স্ত্রী এবং তার প্রেমিকের ভালোবাসা মান্যতা পেল এবং আমার জীবন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেল।’
থানায় দায়িত্বরত হরেন্দ্র সিং বলেন, কনে তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে রাজি নন। তিনি তার প্রেমিকের সঙ্গে সংসার করতে চাইছেন। উভয় পরিবারের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতিতে, বিনিময় করা জিনিসপত্র ফেরৎ দেওয়া হয়েছিল। সবকিছু আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কনে তার প্রেমিকের সঙ্গে থানা ছেড়ে চলে গিয়েছে। বরের পরিবার বাড়ি ফিরেছে।