ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, যা বিশ্বের সম্মানিত ও মর্যাদাবান মানুষকে আনন্দ : খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওর শুরুতে দেখানো হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও লোকজনের ওপর চালানো সহিংসতার দৃশ্য।

এরপর দেখানো হয়, ইসরায়েলের ওপর ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মানুষের উল্লাস এবং সেসব ক্ষেপণাস্ত্রের ফলে ইসরায়েলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, এমন ক্ষেপণাস্ত্র, যা বিশ্বের সম্মানিত ও মর্যাদাবান মানুষকে আনন্দ দিয়েছে।

এদিকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১৪তম দফার হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় একগুচ্ছ কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ও আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের (১৯ জুন) হামলায় যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ নতুন ধরনের বলে দাবি করেছে ইরানের গণমাধ্যম।

ইরানি সংবাদমাধ্যামের দাবি, ইসরায়েলের কয়েক স্তরবিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের বেশির ভাগই রাজধানী তেল আবিবের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। ইরানের একাধিক ওয়ারহেডযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্রে হতভম্ব ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান বহু যুদ্ধাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

‘ইসরায়েলি’ সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে ইরান সাম্প্রতিক এক হামলায় একটি বহু যুদ্ধাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, এটিকে দেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি নতুন ও জটিল হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছে তারা।

দুটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি আর্মি রেডিও জানায়, গুশ দান এলাকা লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রটি বেশ কয়েকটি ছোট সাব-ক্ষেপণাস্ত্রের সমন্বয়ে গঠিত ছিল। আঘাতের পর, ক্ষেপণাস্ত্রটি খণ্ডিত হয়ে অঞ্চলজুড়ে একাধিক স্থানে আঘাত হানে।

ট্যাগস :

মিসাইল হামলার ভয়ে সংলাপ চাই যুক্তরাষ্ট্র , যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করলো ইরান,সংলাপের কোন জায়গা নেই!

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, যা বিশ্বের সম্মানিত ও মর্যাদাবান মানুষকে আনন্দ : খামেনি

আপডেট সময় ০৮:৪৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওর শুরুতে দেখানো হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও লোকজনের ওপর চালানো সহিংসতার দৃশ্য।

এরপর দেখানো হয়, ইসরায়েলের ওপর ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মানুষের উল্লাস এবং সেসব ক্ষেপণাস্ত্রের ফলে ইসরায়েলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, এমন ক্ষেপণাস্ত্র, যা বিশ্বের সম্মানিত ও মর্যাদাবান মানুষকে আনন্দ দিয়েছে।

এদিকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১৪তম দফার হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় একগুচ্ছ কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ও আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের (১৯ জুন) হামলায় যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ নতুন ধরনের বলে দাবি করেছে ইরানের গণমাধ্যম।

ইরানি সংবাদমাধ্যামের দাবি, ইসরায়েলের কয়েক স্তরবিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের বেশির ভাগই রাজধানী তেল আবিবের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। ইরানের একাধিক ওয়ারহেডযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্রে হতভম্ব ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান বহু যুদ্ধাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

‘ইসরায়েলি’ সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে ইরান সাম্প্রতিক এক হামলায় একটি বহু যুদ্ধাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, এটিকে দেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি নতুন ও জটিল হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছে তারা।

দুটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি আর্মি রেডিও জানায়, গুশ দান এলাকা লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রটি বেশ কয়েকটি ছোট সাব-ক্ষেপণাস্ত্রের সমন্বয়ে গঠিত ছিল। আঘাতের পর, ক্ষেপণাস্ত্রটি খণ্ডিত হয়ে অঞ্চলজুড়ে একাধিক স্থানে আঘাত হানে।