ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে যারা চ্যাম্পিয়ন হবে, তাদের পকেটে ঢুকবে ৪০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকারও বেশি। আগামী ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনালের পর ট্রফি ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে শিরোপাজয়ীদের হাতে।
রানার্সআপ দল পাবে ২০ লাখ ইউরো। অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২ কোটি ১২ লাখ টাকারও বেশি তারা উপার্জন করবে। এছাড়া, সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দলের প্রত্যেককে দেওয়া হবে ৮ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বেশি)।
এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক পুরস্কার নিজেদের ঝুলিতে ঢোকানোর অপেক্ষায় আছে চারটি দল। যারা টিকে আছে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে। দলগুলো হলো স্বাগতিক ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
চারটি দলের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ইতিহাসের সর্বোচ্চ পাঁচবার শিরোপা জিতেছে। এবারের আসরে একমাত্র দল হিসেবে এখন পর্যন্ত অপরাজিত থাকা ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুবার। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি আজও। নিউজিল্যান্ড যদিও গত দুই বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালের গণ্ডিই পার হতে পারেনি এই পর্যন্ত।
১০ দলের বিশ্বকাপের প্রথম পর্বেই আটকে গেছে ছয়টি দল। তারা হলো পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস। এদের প্রত্যেকে পাবে ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকার বেশি)। তাছাড়া, প্রথম পর্বে জেতা প্রতিটি ম্যাচের জন্য দলগুলোর পকেটে ঢুকেছে ৪০ হাজার ডলার করে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৪ লাখ টাকার বেশি)।
সব মিলিয়ে ১০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১০ কোটি টাকার বেশি) চলমান বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর জন্য প্রাইজমানি হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কেবল দুটি ম্যাচ জিতে প্রথম পর্ব থেকে বাদ পড়ে যাওয়া বাংলাদেশের প্রাপ্তি প্রায় ২ কোটি টাকা।