ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানারত ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন

  • রুহুল আমীন
  • আপডেট সময় ১১:০৪:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • 192

মানারত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রদল কমিটিতে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন সক্রিয় কর্মীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ক্যাম্পাসে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক সদস্য সচিব আল আমিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাউন্সিলের দিন ‘নিশাত-কুতুব’ প্যানেলের অর্ধেক ভোটার ছিলেন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। বিশেষ করে, কুতুব উদ্দিন নামে একজন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীকে কমিটিতে সহ-সভাপতি করায় ছাত্রদলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ও প্রতিবাদ বিরাজ করছে।

আল আমিন ছাড়াও ছাত্রদলের বর্তমান কমিটিতে থাকা অনেক প্রার্থী এই বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। ভোট গণনার সময় ইলিয়াস হাওলাদার (ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী) বিপুল ভোট পেলেও, ‘নিশাত-কুতুব’ প্যানেলের প্রার্থীতার বাতিল হওয়ার ঘটনা উঠে আসে। মাইনুল হাসান নিশাতের ১৬ জন ভোটারের মধ্যে ৮ জন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী বলে প্রমাণ মিলেছে। তারপরও নিশাত কীভাবে সভাপতি হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ছাত্রদল সমর্থকদের মধ্যে।

মানারত বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলশান ক্যাম্পাস থেকে কাউকে কমিটিতে না রাখা এবং সিনিয়রদের উপেক্ষা করে জুনিয়রকে সভাপতি করা হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাফছীরুল ইসলাম সানি। তিনি বলেন, এতে ছাত্রদলে বিভাজনের বীজ বপন হয়েছে এবং ছাত্রলীগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছে। আব্দুল্লাহ নাহিদ নামে একজন ত্যাগী ছাত্রদল কর্মীকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাধারণ শিক্ষার্থী জানান, কুতুব উদ্দিন, মন্ডল এবং অন্যান্য ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদেরকে নির্যাতন করেছিল। তাদের ছাত্রদলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। “We want Justice” নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। গোপন সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবু হোরায়রা এবং মাইনুল হাসান নিশাতের মামা আল-আমিন বাবলু এই ঘটনার সাথে জড়িত। তারা মিলে নিশাতকে সভাপতি করেছেন এবং ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

 

ট্যাগস :

মানারত ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন

আপডেট সময় ১১:০৪:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

মানারত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রদল কমিটিতে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন সক্রিয় কর্মীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ক্যাম্পাসে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক সদস্য সচিব আল আমিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাউন্সিলের দিন ‘নিশাত-কুতুব’ প্যানেলের অর্ধেক ভোটার ছিলেন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। বিশেষ করে, কুতুব উদ্দিন নামে একজন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীকে কমিটিতে সহ-সভাপতি করায় ছাত্রদলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ও প্রতিবাদ বিরাজ করছে।

আল আমিন ছাড়াও ছাত্রদলের বর্তমান কমিটিতে থাকা অনেক প্রার্থী এই বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। ভোট গণনার সময় ইলিয়াস হাওলাদার (ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী) বিপুল ভোট পেলেও, ‘নিশাত-কুতুব’ প্যানেলের প্রার্থীতার বাতিল হওয়ার ঘটনা উঠে আসে। মাইনুল হাসান নিশাতের ১৬ জন ভোটারের মধ্যে ৮ জন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী বলে প্রমাণ মিলেছে। তারপরও নিশাত কীভাবে সভাপতি হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ছাত্রদল সমর্থকদের মধ্যে।

মানারত বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলশান ক্যাম্পাস থেকে কাউকে কমিটিতে না রাখা এবং সিনিয়রদের উপেক্ষা করে জুনিয়রকে সভাপতি করা হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাফছীরুল ইসলাম সানি। তিনি বলেন, এতে ছাত্রদলে বিভাজনের বীজ বপন হয়েছে এবং ছাত্রলীগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছে। আব্দুল্লাহ নাহিদ নামে একজন ত্যাগী ছাত্রদল কর্মীকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাধারণ শিক্ষার্থী জানান, কুতুব উদ্দিন, মন্ডল এবং অন্যান্য ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদেরকে নির্যাতন করেছিল। তাদের ছাত্রদলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। “We want Justice” নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। গোপন সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবু হোরায়রা এবং মাইনুল হাসান নিশাতের মামা আল-আমিন বাবলু এই ঘটনার সাথে জড়িত। তারা মিলে নিশাতকে সভাপতি করেছেন এবং ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।