ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস শহরে অভিবাসনবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে টানা তিন দিন ধরে চলছে বিক্ষোভ, যা সহিংস রূপ নিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা যানবাহনে আগুন দিয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে।

বিক্ষোভ দমনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। যার ফলে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সেনা মোতায়েন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্ত উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে এবং এটি ক্ষমতার অপব্যবহার।’ এরই মধ্যে প্রায় দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য শহরে মোতায়েন করা হয়েছে।

ইউএস নর্দার্ন কমান্ড জানিয়েছে, পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে ৫০০ মেরিন সেনাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা গত শনিবার (৭ জুন) ইমিগ্রেশন বিভাগের একটি অভিযানের স্থানে সমবেত হয়, যেখানে ১১৮ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছিল। ওই এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে। কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।

তবে পুলিশ জানায়, পুনরায় সড়ক অবরোধ করায় ১০১ ফ্রিওয়ে পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে বিক্ষোভকারীদের ‘পেইড বিদ্রোহী’ বলে অভিহিত করেছেন, যদিও তিনি কোনো প্রমাণ দেননি।

তিনি লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়র কারেন ব্যাস ও গভর্নর নিউসমের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে তাদের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। অন্যদিকে মেয়র কারেন ব্যাস বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, আমরা লস অ্যাঞ্জেলসবাসীর পাশে আছি।

বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ

বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ

আপডেট সময় ০১:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস শহরে অভিবাসনবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে টানা তিন দিন ধরে চলছে বিক্ষোভ, যা সহিংস রূপ নিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা যানবাহনে আগুন দিয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে।

বিক্ষোভ দমনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। যার ফলে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সেনা মোতায়েন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্ত উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে এবং এটি ক্ষমতার অপব্যবহার।’ এরই মধ্যে প্রায় দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য শহরে মোতায়েন করা হয়েছে।

ইউএস নর্দার্ন কমান্ড জানিয়েছে, পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে ৫০০ মেরিন সেনাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা গত শনিবার (৭ জুন) ইমিগ্রেশন বিভাগের একটি অভিযানের স্থানে সমবেত হয়, যেখানে ১১৮ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছিল। ওই এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে। কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।

তবে পুলিশ জানায়, পুনরায় সড়ক অবরোধ করায় ১০১ ফ্রিওয়ে পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে বিক্ষোভকারীদের ‘পেইড বিদ্রোহী’ বলে অভিহিত করেছেন, যদিও তিনি কোনো প্রমাণ দেননি।

তিনি লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়র কারেন ব্যাস ও গভর্নর নিউসমের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে তাদের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। অন্যদিকে মেয়র কারেন ব্যাস বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, আমরা লস অ্যাঞ্জেলসবাসীর পাশে আছি।