গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় গুরুতর আহত মো. ইলিয়াস হোসেন (৪২) নামের এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত মো. ইলিয়াস হোসেন উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের মৃত মো. আবদুল ব্যাপারীর ছেলে ও ওই ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক।
সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মো. ইলিয়াস হোসেন তাঁর খামারে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী মো. আবদুল জলিল মিয়ার বসতবাড়ির কাছে পৌঁছলে তাঁর উপর অতর্কিত হামলা চালায় মো. সুমন মিয়া, মো. জুবায়ের হোসেন ও মো. সাজু মিয়া। এতে গুরুতর আহত হন এবং রাতেই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নিহত মো.:ইলিয়াস হোসেন আহত হওয়ার পরে ওই ৩ ব্যাক্তির কথা বলেছেন বলেও জানান ইউপি চেয়ারম্যান। মারামারির আসল ঘটনা তাঁর জানা নেই তবে পারিবারিক বিরোধে এ মারামারি হয়েছে বলে ধারণা ইউপি চেয়ারম্যানের।
এ বিষয়ে কথা হয় থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো আবদুল হাকিম আজাদের সাথে। তিনি বলেন, মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। লাশ এখনো রংপুরে আছে। মামলা এখনো হয়নি। মারামারির প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন এ কর্মকর্তা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি সময়ে কোন এক শুক্রবারে মসজিদে জুমার নামাজের পরে মো. সুমন মিয়ার বাবা মো. মজিবর রহমানকে চড়থাপ্পড় মারেন মো. ইলিয়াস হোসেন। পরবর্তীতে বিষয়টি বড় আকার ধারণ করে। এরপর বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সালিসি বৈঠক হয়। তাতে মিমাংসাও হয়। এরই জেরে এ মারামারির ঘটনা হতে পারে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।