ঢাকা ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচ মাস হলো নারী ক্রিকেটাররা বেতন পান না

শোনা যায়, ৯০০ কোটি টাকা আছে বিসিবির অর্থভান্ডারে। সে হিসেবে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে ধনী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। সয়ং ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঘরেও এত টাকা আছে কি না, বলা কঠিন। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সব ফেডারেশনের টাকা এক জায়গায় জমা করলেও বিসিবির অর্থের কাছে বিন্দু মনে হবে। এত টাকা যাদের ভান্ডরে, তাদের ঘরের নারী ক্রিকেটাররা পাঁচ মাস ধরে বেতন পান না। এ নিয়ে কোনো নারী ক্রিকেটার মুখ খুলতেও পারছেন না। বেতন চাইলেই নাকি হয়ে যাবে হয়ে যাবে শুনে আসছেন। বেতন না পাওয়ার কথাটা যদি বাইরে বলা হয়, তাহলে সেই নারী ক্রিকেটার বিপদে পড়তে পারেন ভয়ে মুখ খুলতে রাজি নন। নারী ক্রিকেটারদের কথা হচ্ছে, আমরা পরিবার ছেড়ে ক্যাম্প করছি। দেশের জন্য খেলছি। আমরা খুব ধনী পরিবারের সন্তান না। বিসিবি থেকে বেতন পেয়ে বাবা-মায়ের কাছে পাঠাতে হয়।

বিসিবির কর্মকর্তাদের কাছে বেতন চেয়েও কোনো সুরাহা হয়নি, এমন তথ্য নারী ক্রিকেটারদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।সর্বশেষ বেতন হয়েছে গত মে মাসে। এরপর আর বেতন হয়নি। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই বাস্তব। বিসিবির মতো এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান, বৃত্তশালী প্রতিষ্ঠান ৯০০ কোটি টাকা পকেটে রেখে যদি বেতন দিতে না পারে, সেটা শুনতে অবিশ্বাসই হওয়ার কথা।

বিসিবির নারী ক্রিকেট দলের চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম নাদেল মেনে নিয়েছেন তাদের অভিযোগ। তবে দুই-এক দিনের মধ্যেই বেতন দিয়ে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন নাদেল। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন এই অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘পাঁচ মাস মেয়েরা বেতন পায়নি। কোনো অজুহাত দাঁড় করাব না। আমি নিজেও এটি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। বিসিবির সভাপতির সঙ্গে সিইও কথা বলেছেন। হয়ে যাবে।’ নাদেল জানিয়েছেন, সবার বকেয়া বেতন একসঙ্গেই দিয়ে দেওয়া হবে। কারো বকেয়া থাকবে না।’

আমলাতান্ত্রীক জটিলতায় ভুগছে নারী ক্রিকেটাররা।
বিসিবির চুক্তিভিত্তিক নারী ক্রিকেটার ২৬ জন। এই ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন খুব একটা বেশি নয়। বেতনের ইস্যুতে অনেক আগেই বোর্ডে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী পদক্ষেপে গিয়ে ফাইল পড়ে ছিল। মাঝপথে আটকে থাকা বেতনের ফাইল গতি পেয়েছে এখন। যত দ্রুত সম্ভব, প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বেতন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা বিসিবির।

দেশের পুরুষ ক্রিকেটাররা হঠাত্ হঠাত্ ম্যাচ জিতে চমক দেন। আর সেই তুলনায় নারী ক্রিকেটারদের সাফল্য বেশি। পুরুষ ক্রিকেটাররা এখনো এশিয়া কাপের ট্রফি এনে দিতে পারেননি, নারী ক্রিকেটাররা এই সাফল্য উপহার দিয়েছেন দেশকে। সম্প্রতি চীনের হ্যাংঝুতে অনুষ্ঠিত এশিয়া গেমস ক্রিকেটে বাংলাদেশ নারী দল ব্রোঞ্জ পেয়েছে। এবার চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং ঢাকায় ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এর আগে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ড্র করেছে। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি, নাহিদা আক্তার, ফারজানা হক পিংকি, শামীমা সুলতানা, সোবহানা মোস্তারি, রিতু মনি, স্বর্ণা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, সানজিদা আক্তার মেঘলা, রাবেয়া, মারুফা আক্তার, দিশা বিশ্বাস, মুর্শিদা খাতুন, সুমাইয়া আক্তার, নিশিতা আক্তার নিশি, সুলতানা খাতুন প্রমুখরা এত সব সাফল্য এনে দেওয়ার পরও বিসিবির কর্মকর্তাদের মুখে তাকিয়ে থাকেন, কবে তারা বেতন দেবেন সেই আশায়।

পাকিস্তানজুড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ, সেনা মোতায়েন

পাঁচ মাস হলো নারী ক্রিকেটাররা বেতন পান না

আপডেট সময় ১১:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

শোনা যায়, ৯০০ কোটি টাকা আছে বিসিবির অর্থভান্ডারে। সে হিসেবে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে ধনী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। সয়ং ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঘরেও এত টাকা আছে কি না, বলা কঠিন। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সব ফেডারেশনের টাকা এক জায়গায় জমা করলেও বিসিবির অর্থের কাছে বিন্দু মনে হবে। এত টাকা যাদের ভান্ডরে, তাদের ঘরের নারী ক্রিকেটাররা পাঁচ মাস ধরে বেতন পান না। এ নিয়ে কোনো নারী ক্রিকেটার মুখ খুলতেও পারছেন না। বেতন চাইলেই নাকি হয়ে যাবে হয়ে যাবে শুনে আসছেন। বেতন না পাওয়ার কথাটা যদি বাইরে বলা হয়, তাহলে সেই নারী ক্রিকেটার বিপদে পড়তে পারেন ভয়ে মুখ খুলতে রাজি নন। নারী ক্রিকেটারদের কথা হচ্ছে, আমরা পরিবার ছেড়ে ক্যাম্প করছি। দেশের জন্য খেলছি। আমরা খুব ধনী পরিবারের সন্তান না। বিসিবি থেকে বেতন পেয়ে বাবা-মায়ের কাছে পাঠাতে হয়।

বিসিবির কর্মকর্তাদের কাছে বেতন চেয়েও কোনো সুরাহা হয়নি, এমন তথ্য নারী ক্রিকেটারদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।সর্বশেষ বেতন হয়েছে গত মে মাসে। এরপর আর বেতন হয়নি। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই বাস্তব। বিসিবির মতো এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান, বৃত্তশালী প্রতিষ্ঠান ৯০০ কোটি টাকা পকেটে রেখে যদি বেতন দিতে না পারে, সেটা শুনতে অবিশ্বাসই হওয়ার কথা।

বিসিবির নারী ক্রিকেট দলের চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম নাদেল মেনে নিয়েছেন তাদের অভিযোগ। তবে দুই-এক দিনের মধ্যেই বেতন দিয়ে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন নাদেল। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন এই অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘পাঁচ মাস মেয়েরা বেতন পায়নি। কোনো অজুহাত দাঁড় করাব না। আমি নিজেও এটি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। বিসিবির সভাপতির সঙ্গে সিইও কথা বলেছেন। হয়ে যাবে।’ নাদেল জানিয়েছেন, সবার বকেয়া বেতন একসঙ্গেই দিয়ে দেওয়া হবে। কারো বকেয়া থাকবে না।’

আমলাতান্ত্রীক জটিলতায় ভুগছে নারী ক্রিকেটাররা।
বিসিবির চুক্তিভিত্তিক নারী ক্রিকেটার ২৬ জন। এই ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন খুব একটা বেশি নয়। বেতনের ইস্যুতে অনেক আগেই বোর্ডে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী পদক্ষেপে গিয়ে ফাইল পড়ে ছিল। মাঝপথে আটকে থাকা বেতনের ফাইল গতি পেয়েছে এখন। যত দ্রুত সম্ভব, প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বেতন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা বিসিবির।

দেশের পুরুষ ক্রিকেটাররা হঠাত্ হঠাত্ ম্যাচ জিতে চমক দেন। আর সেই তুলনায় নারী ক্রিকেটারদের সাফল্য বেশি। পুরুষ ক্রিকেটাররা এখনো এশিয়া কাপের ট্রফি এনে দিতে পারেননি, নারী ক্রিকেটাররা এই সাফল্য উপহার দিয়েছেন দেশকে। সম্প্রতি চীনের হ্যাংঝুতে অনুষ্ঠিত এশিয়া গেমস ক্রিকেটে বাংলাদেশ নারী দল ব্রোঞ্জ পেয়েছে। এবার চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং ঢাকায় ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এর আগে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ড্র করেছে। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি, নাহিদা আক্তার, ফারজানা হক পিংকি, শামীমা সুলতানা, সোবহানা মোস্তারি, রিতু মনি, স্বর্ণা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, সানজিদা আক্তার মেঘলা, রাবেয়া, মারুফা আক্তার, দিশা বিশ্বাস, মুর্শিদা খাতুন, সুমাইয়া আক্তার, নিশিতা আক্তার নিশি, সুলতানা খাতুন প্রমুখরা এত সব সাফল্য এনে দেওয়ার পরও বিসিবির কর্মকর্তাদের মুখে তাকিয়ে থাকেন, কবে তারা বেতন দেবেন সেই আশায়।