ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শেখ মুজিবসহ ৪ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল Logo রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo ভুটানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অভিষেকের অপেক্ষায় হামজা চৌধুরী Logo বাংলাদেশি হাজীদের সেবার দায়িত্বে মিনায় ১৮ টিম Logo জাতিসংঘের সংস্থায় ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’হিসেবে স্বীকৃতি পেলো ফিলিস্তিন Logo ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৬০ বস্তা ভিজিএফ চাল লুট, যৌথবাহিনী উদ্ধার করল ২২ বস্তা Logo সরকার শপথ না পড়ালে নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসার ঘোষণা ইশরাকের Logo মৌলভীবাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচার হাতে ২ ভাতিজি খুন,আহত ১ Logo ঈদ সামনে রেখে আগুন-লোহার সঙ্গেই দিনরাত কামার শিল্পীদের Logo পুশইন বন্ধে দিল্লিকে ফের চিঠি দেবে ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দরে রাশিয়ার ৩ যুদ্ধজাহাজ

চট্টগ্রাম বন্দরে রাশিয়ার ৩ যুদ্ধজাহাজ

বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে বাংলাদেশে এসেছে রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের তিনটি জাহাজ। গত ৫০ বছরে এই প্রথম কোনো রুশ যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে এলো।

প্যাসিফিক ফ্লিট নামে এই নৌবহরে অ্যাডমিরাল ট্রাইবাটস ও অ্যাডমিরাল প্যান্টেলেভ নামে দুটি সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। পেচেঙ্গা নামে একটি ট্যাঙ্কারও আছে এই বহরে।

ঢাকায় অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাস এক বার্তায় জানায়, রাশিয়ান প্যাসিফিক ফ্লিট স্কোয়াড্রন চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করছে, যা রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য একটি বিশাল মাইলফলক। ৫০ বছর আগে সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) নৌবাহিনীর জাহাজ শেষবার বাংলাদেশের বন্দর পরিদর্শন করেছিল।

রাশিয়ান দূতাবাস আরও জানায়, ৫ দশক আগে রুশ নৌবহর এসেছিল মূলত সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশকে মানবিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বন্দরে অনেক মাইন বসানো হয়েছিল। এ কারণে অনেক জাহাজ ডুবে গিয়েছিল। সে সময় এই মাইন সমস্যা সমাধানে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনেক দেশের কাছেই আবেদন জানিয়েছিল। কিছু দেশ সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছিল। কিন্তু বিনিময়ে অনেক অর্থ দাবি করেছিল তারা; যা বাংলাদেশের ছিল না। তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) একমাত্র দেশ হিসেবে মানবিক কারণে সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছিল। এরপর সমস্যা সমাধানে মাইন ক্লিয়ারিং অপারেশন নামে একটি অভিযান চালানো হয়। সোভিয়েত নৌবাহিনীর ৮ শতাধিক নাবিক ২৬ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চট্টগ্রাম বন্দরের মাইন অপসারণ করে; যা ১৯৭২ সালের এপ্রিলে শুরু হয়ে ১৯৭৪ সালের জুন পর্যন্ত চলে। সেই অভিযানে এক রুশ নৌডুবুরি মারা যান। তবে শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত নৌসেনারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করে এবং চট্টগ্রাম বন্দরে সারা বিশ্ব থেকে জাহাজ আসা-যাওয়ার পথ সুগম হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের মার্চে আসা সোভিয়েত নৌবাহিনীর প্রতিনিধি দলটি ভাইস অ্যাডমিরাল সের্গেই জুয়েঙ্কোর নেতৃত্বে ১ হাজার নাবিকের একটি বিশেষ টাস্কফোর্স মাইন অপসারণের কাজ শুরু করে। ওই অভিযানে অংশ নিয়েছিল দেশটির ২৪টি জাহাজ।

শেখ মুজিবসহ ৪ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল

চট্টগ্রাম বন্দরে রাশিয়ার ৩ যুদ্ধজাহাজ

আপডেট সময় ১০:২০:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে বাংলাদেশে এসেছে রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের তিনটি জাহাজ। গত ৫০ বছরে এই প্রথম কোনো রুশ যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে এলো।

প্যাসিফিক ফ্লিট নামে এই নৌবহরে অ্যাডমিরাল ট্রাইবাটস ও অ্যাডমিরাল প্যান্টেলেভ নামে দুটি সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। পেচেঙ্গা নামে একটি ট্যাঙ্কারও আছে এই বহরে।

ঢাকায় অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাস এক বার্তায় জানায়, রাশিয়ান প্যাসিফিক ফ্লিট স্কোয়াড্রন চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করছে, যা রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য একটি বিশাল মাইলফলক। ৫০ বছর আগে সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) নৌবাহিনীর জাহাজ শেষবার বাংলাদেশের বন্দর পরিদর্শন করেছিল।

রাশিয়ান দূতাবাস আরও জানায়, ৫ দশক আগে রুশ নৌবহর এসেছিল মূলত সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশকে মানবিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বন্দরে অনেক মাইন বসানো হয়েছিল। এ কারণে অনেক জাহাজ ডুবে গিয়েছিল। সে সময় এই মাইন সমস্যা সমাধানে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনেক দেশের কাছেই আবেদন জানিয়েছিল। কিছু দেশ সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছিল। কিন্তু বিনিময়ে অনেক অর্থ দাবি করেছিল তারা; যা বাংলাদেশের ছিল না। তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) একমাত্র দেশ হিসেবে মানবিক কারণে সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছিল। এরপর সমস্যা সমাধানে মাইন ক্লিয়ারিং অপারেশন নামে একটি অভিযান চালানো হয়। সোভিয়েত নৌবাহিনীর ৮ শতাধিক নাবিক ২৬ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চট্টগ্রাম বন্দরের মাইন অপসারণ করে; যা ১৯৭২ সালের এপ্রিলে শুরু হয়ে ১৯৭৪ সালের জুন পর্যন্ত চলে। সেই অভিযানে এক রুশ নৌডুবুরি মারা যান। তবে শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত নৌসেনারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করে এবং চট্টগ্রাম বন্দরে সারা বিশ্ব থেকে জাহাজ আসা-যাওয়ার পথ সুগম হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের মার্চে আসা সোভিয়েত নৌবাহিনীর প্রতিনিধি দলটি ভাইস অ্যাডমিরাল সের্গেই জুয়েঙ্কোর নেতৃত্বে ১ হাজার নাবিকের একটি বিশেষ টাস্কফোর্স মাইন অপসারণের কাজ শুরু করে। ওই অভিযানে অংশ নিয়েছিল দেশটির ২৪টি জাহাজ।