নৌবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে মোটা অংকের টাকার চুক্তির অভিযোগে খুলনায় প্রতারক ও দালাল চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ( ১৯ মে ) দিবাগত গভীর রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে নৌবাহিনী সদস্যরা তাদের গ্রেফতার করে।
তাদের কাছ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের স্বাক্ষরিত চেক বই, ফাঁকা স্ট্যাম্প, মোবাইল ফোন, নৌবাহিনীর নাবিক ও এমওডিসি পদের আবেদনপত্র এবং প্রশ্ন ও উত্তরপত্রের সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা চত্বরে প্রেস ব্রিফিং করেছে নৌবাহিনীর খুলনা কন্টিনজেন্ট। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দালাল চক্রের প্রধান শামীম ইসলাম (৪০) এবং তার সহযোগী আশিকুর রহমান (২১), শাকিল আহমেদ (২০), মো. আলহাজ আলী (১৯), মো. নয়ন আলী (১৯), মো. মুস্তাকিম (১৯), ফরহাদ মণ্ডল (২১), মোহাম্মদ রিয়াজ ইসলাম (১৯) ও মো. আমিরুল ইসলামকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ চক্রের সদস্যরা নৌবাহিনীতে নাবিক এবং এমওডিসি পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ৩৮ জনের কাছ থেকে চেক এবং ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। তারা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল সংলগ্ন হাফিজনগর এলাকার ‘সুইট প্যালেস’ নামক একটি আবাসিক হোটেলে চাকরিপ্রার্থীদের জড়ো করে প্রশিক্ষণের নামে চুক্তিপত্র সম্পাদনের কাজ করছিল।
জনপ্রতি চাকরিপ্রার্থীদের সাথে তারা ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকার চুক্তি করে। গোপন খবরের ভিত্তিতে এ তথ্য পেয়ে নৌবাহিনীর একটি দল সোমবার গভীর রাতে ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার সকালে তাদের সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তর করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সামিউর রহমান খান বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা অর্থের বিনিময়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে স্বাক্ষরিত ব্যাংকের ব্ল্যাঙ্ক চেক, ব্ল্যাঙ্ক স্ট্যাম্প এবং হোটেলে নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন রেখে দেয়। এ ছাড়া প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য হোটেলেই প্রার্থীদের চোখ পরীক্ষার জন্য কালার ব্লাইন্ড টেস্ট বুক এবং ভুয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে।