ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাজারে কালীপুরের সুস্বাদু লিচু, পৌঁছে যাচ্ছে সারাদেশে Logo সিলেট-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হাবিবুর রহমান Logo কুষ্টিয়ায় ডাম্প ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত Logo কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া নজরুল হলে ‘স্বৈরাচার’ নামের গরু জবাই Logo নাটোরে জামায়াতের ১ মাসে ৯৪,৫০০ নতুন সদস্য ফরম পূরণ Logo তরুণরাই নতুন বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি: আসিফ মাহমুদ Logo রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে সুদিন ফিরেছে দেশে: বাণিজ্য উপদেষ্টা Logo মুন্সীগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ Logo সাম্য হত্যার বিচার না হলে সারাদেশ অচল দেওয়ার হুঁশিয়ারি ছাত্রদলের Logo নৌবাহিনীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ৯

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভারতপন্থিদের ব্যাপক সংঘর্ষ, নিহত ১২

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভারতপন্থি সন্ত্রাসীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১২ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। পৃথক অভিযানে তারা নিহত হন।

সোমবার (১৯ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে পৃথক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ভারতীয় প্রক্সি সংগঠনের ১২ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে। এ সময় দুই সেনা নিহত হয়েছেন।

আইএসপিআর জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ও রোববার এই অভিযানগুলো পরিচালিত হয়। খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং বেলুচিস্তানে নিষিদ্ধ বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাক্কি মারওয়াত জেলায় একটি অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদের অবস্থানে হামলা চালায়। এ সময় ‘ভারত সমর্থিত’ পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত। বান্নু জেলায় আরেকটি অভিযানে দুজন ভারতপন্থি সন্ত্রাসী নিহত হয়। উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলী এলাকায় সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর একটি কনভয়ের উপর হামলা চালায়। এরপর নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা হামলায় দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়। তবে, তীব্র গোলাগুলির সময় সিপাহী ফরহাদ আলী তুরি (২৯, কুররাম জেলা) এবং ল্যান্স নায়েক সাবির আফ্রিদি (৩২, কোহাত জেলা) শহীদ হন।

আইএসপিআর জানায়, এলাকায় অন্য সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে অভিযান চলছে। তারা বলেছে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ভারত সমর্থিত ও প্রক্সির মাধ্যমে পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এবং আমাদের সাহসী সৈনিকদের এই আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করে।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি সফল অভিযানের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও নিরাপত্তা বাহিনীর পেশাদার দক্ষতা এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপের জন্য তাদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বেলুচিস্তানে নিরীহ নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি বিপন্ন করার জন্য ভারতের ষড়যন্ত্র প্রকাশ পেয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাজারে কালীপুরের সুস্বাদু লিচু, পৌঁছে যাচ্ছে সারাদেশে

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভারতপন্থিদের ব্যাপক সংঘর্ষ, নিহত ১২

আপডেট সময় ১২:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভারতপন্থি সন্ত্রাসীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১২ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। পৃথক অভিযানে তারা নিহত হন।

সোমবার (১৯ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে পৃথক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ভারতীয় প্রক্সি সংগঠনের ১২ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে। এ সময় দুই সেনা নিহত হয়েছেন।

আইএসপিআর জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ও রোববার এই অভিযানগুলো পরিচালিত হয়। খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং বেলুচিস্তানে নিষিদ্ধ বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাক্কি মারওয়াত জেলায় একটি অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদের অবস্থানে হামলা চালায়। এ সময় ‘ভারত সমর্থিত’ পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত। বান্নু জেলায় আরেকটি অভিযানে দুজন ভারতপন্থি সন্ত্রাসী নিহত হয়। উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলী এলাকায় সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর একটি কনভয়ের উপর হামলা চালায়। এরপর নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা হামলায় দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়। তবে, তীব্র গোলাগুলির সময় সিপাহী ফরহাদ আলী তুরি (২৯, কুররাম জেলা) এবং ল্যান্স নায়েক সাবির আফ্রিদি (৩২, কোহাত জেলা) শহীদ হন।

আইএসপিআর জানায়, এলাকায় অন্য সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে অভিযান চলছে। তারা বলেছে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ভারত সমর্থিত ও প্রক্সির মাধ্যমে পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এবং আমাদের সাহসী সৈনিকদের এই আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করে।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি সফল অভিযানের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও নিরাপত্তা বাহিনীর পেশাদার দক্ষতা এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপের জন্য তাদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বেলুচিস্তানে নিরীহ নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি বিপন্ন করার জন্য ভারতের ষড়যন্ত্র প্রকাশ পেয়েছে।