ঢাকা ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে তবে জুনের পরে নয়: প্রধান উপদেষ্টা Logo তা’মীরুল মিল্লাত টঙ্গীতে দাখিল স্তরের ক্লাস ক্যাপ্টেনদের মতবিনিময় Logo কুষ্টিয়ায় আ. লীগের প্রভাবশালী দুই নেতাসহ তিনজন কারাগারে Logo কুমারখালীতে ১০ দিন ব্যাপি আনসার ভিডিপি’র মৌলিক প্রশিক্ষন উদ্বোধন Logo গাইবান্ধায় ‘কুরআনিক অলিম্পিয়াড-২৫ ঐতিহাসিক কুরআন দিবসে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ Logo চলতি মাসের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯৬৪২ কোটি টাকা Logo ছাত্রশিবির সভাপতিকে ঘিরে ভুয়া ফটোকার্ড ছড়িয়ে অপপ্রচার Logo ভারতে বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন, ১৭ জনের প্রাণহানি Logo স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন Logo বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি ঘোষণা

আমেরিকাকে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়তেই হবে: আয়াতুল্লাহ খামেনি

আমেরিকাকে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়তেই হবে: আয়াতুল্লাহ খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, উপসাগরীয় অঞ্চলে দেশগুলোর “দৃঢ় সংকল্প ও প্রতিরোধ” প্রমাণ করেছে যে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়তে হবে। তেহরানে এক বৈঠকে তিনি অভিযোগ করেন, ওয়াশিংটন ইচ্ছে করেই উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোকে নিজেদের সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল করে রাখছে।

খামেনি তাঁর বক্তব্যে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফরের প্রসঙ্গও টানেন। ওই সফরে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইরানি নেতার দাবি, এসব চুক্তিই প্রমাণ করে যে যুক্তরাষ্ট্র এখানকার নিরাপত্তা নয়, বরং অর্থনৈতিক লাভকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

এ সময় ট্রাম্প ইরানের নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি ইরানের তেল রফতানি শূণ্যে নামিয়ে আনার হুঁশিয়ারি দেন। গত মঙ্গলবার (১৩ মে) যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইরানের নেতারা তাদের জনগণের সম্পদ চুরি করে অন্য দেশে সন্ত্রাস ও রক্তপাতে মনযোগ দিয়েছেন।

এরপর শুক্রবার (১৬ মে) দেশে ফেরার পথে তিনি ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরানকে পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তারা জানে যে তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। নাহয় খারাপ কিছু ঘটবে।

ট্রাম্পের এসব মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন খামেনি। শনিবার (১৭ মে) তেহরানের একটি মসজিদে দেওয়া বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন বক্তব্যকে ‘লজ্জাজনক’ এবং ‘জবাবের উপযুক্ত নয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ট্রাম্পের নাম উচ্চারণ না করেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ওইসব মন্তব্য এতই নিচুমানের যে, সেগুলো ‘বক্তা ও আমেরিকান জনগণের জন্য লজ্জাজনক’।

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন ও গণহত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা নিয়েও কথা বলেন খামেনি। তিনি গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় মার্কিন প্রচেষ্টা নিয়ে অসততার অভিযোগ করে বলেন, ট্রাম্প দাবি করেন যে, তিনি তার শক্তি ও প্রভাবকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যবহার করতে চান।

খামেনি বলেন, কিন্তু ট্রাম্প ও তার প্রশাসন এবং মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের ক্ষমতার ব্যবহার করছেন গাজায় গণহত্যা চালাতে। যেখানে খুশি যুদ্ধ উসকে দিতে আর নিজেদের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে।

তার মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরব দেশগুলোকে এমন একটি মডেল উপহার দিয়েছেন, দেশগুলো আমেরিকা ছাড়া দশ দিনও টিকে থাকতে পারবে না। তবে, এই মডেল অবশ্যই ব্যর্থ হয়েছে। আঞ্চলিক দেশগুলোর সংগ্রামের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এই অঞ্চল ছেড়ে যেতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে তবে জুনের পরে নয়: প্রধান উপদেষ্টা

আমেরিকাকে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়তেই হবে: আয়াতুল্লাহ খামেনি

আপডেট সময় ০৬:৪৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, উপসাগরীয় অঞ্চলে দেশগুলোর “দৃঢ় সংকল্প ও প্রতিরোধ” প্রমাণ করেছে যে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়তে হবে। তেহরানে এক বৈঠকে তিনি অভিযোগ করেন, ওয়াশিংটন ইচ্ছে করেই উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোকে নিজেদের সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল করে রাখছে।

খামেনি তাঁর বক্তব্যে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফরের প্রসঙ্গও টানেন। ওই সফরে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইরানি নেতার দাবি, এসব চুক্তিই প্রমাণ করে যে যুক্তরাষ্ট্র এখানকার নিরাপত্তা নয়, বরং অর্থনৈতিক লাভকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

এ সময় ট্রাম্প ইরানের নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি ইরানের তেল রফতানি শূণ্যে নামিয়ে আনার হুঁশিয়ারি দেন। গত মঙ্গলবার (১৩ মে) যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইরানের নেতারা তাদের জনগণের সম্পদ চুরি করে অন্য দেশে সন্ত্রাস ও রক্তপাতে মনযোগ দিয়েছেন।

এরপর শুক্রবার (১৬ মে) দেশে ফেরার পথে তিনি ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরানকে পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তারা জানে যে তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। নাহয় খারাপ কিছু ঘটবে।

ট্রাম্পের এসব মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন খামেনি। শনিবার (১৭ মে) তেহরানের একটি মসজিদে দেওয়া বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন বক্তব্যকে ‘লজ্জাজনক’ এবং ‘জবাবের উপযুক্ত নয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ট্রাম্পের নাম উচ্চারণ না করেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ওইসব মন্তব্য এতই নিচুমানের যে, সেগুলো ‘বক্তা ও আমেরিকান জনগণের জন্য লজ্জাজনক’।

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন ও গণহত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা নিয়েও কথা বলেন খামেনি। তিনি গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় মার্কিন প্রচেষ্টা নিয়ে অসততার অভিযোগ করে বলেন, ট্রাম্প দাবি করেন যে, তিনি তার শক্তি ও প্রভাবকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যবহার করতে চান।

খামেনি বলেন, কিন্তু ট্রাম্প ও তার প্রশাসন এবং মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের ক্ষমতার ব্যবহার করছেন গাজায় গণহত্যা চালাতে। যেখানে খুশি যুদ্ধ উসকে দিতে আর নিজেদের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে।

তার মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরব দেশগুলোকে এমন একটি মডেল উপহার দিয়েছেন, দেশগুলো আমেরিকা ছাড়া দশ দিনও টিকে থাকতে পারবে না। তবে, এই মডেল অবশ্যই ব্যর্থ হয়েছে। আঞ্চলিক দেশগুলোর সংগ্রামের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এই অঞ্চল ছেড়ে যেতে হবে।