ঢাকা ১১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মানিকগঞ্জ -২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী প্রকাশ Logo জনপ্রতিনিধিরা শাসক নয় হবে খাদেম: সেলিম উদ্দিন Logo ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বাহিনীতে ১৭ হাজার নতুন সদস্য নেওয়া হবে’ Logo নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে সব ভোটকেন্দ্র Logo সরকারি খরচে বিদেশ সফর বন্ধ, কেনা যাবে না গাড়ি Logo ইসলামপন্থীরা বিজয়ী হলে এক পয়সাও দুর্নীতি হবে না: শায়খে চরমোনাই Logo গাইবান্ধায় বিয়ে বাড়িতে মাংস কম দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত ১ Logo আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লা’ঠিচা’র্জে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ২০ শিক্ষার্থী আ’হ’ত Logo বন্যা পরিস্থিতি খাগড়াছড়ি: পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত Logo কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীনকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে জামায়াতের এমপি প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে জামায়াতের এমপি প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) সংসদীয় আসনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হলেন কসবা সদরের কৃতি সন্তান মু. আতাউর রহমান সরকার।

আজ শনিবার ( ১৭ মে ) জেলার এক সমাবেশে কেন্দ্রীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম।

আতাউর রহমান সরকার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক, বর্তমানে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক। সাংবাদিক, লেখক ও শিক্ষাবিদ হিসেবে খ্যাত এই কসবা সদরের কৃতি সন্তান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত রয়েছেন।

তার মনোনয়নকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছে।

শিক্ষা জীবন ও রাজনৈতিক পথচলা

আতাউর রহমান সরকার ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই ইসলামী আন্দোলনের পথে হাঁটতে শুরু করেন। কদমে কদমে ইসলামের মর্ম উপলদ্ধি করেন তিনি। ইসলামী আন্দোলন ও প্রচলিত রাজনীতির ফারাকগুলো তার জীবনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দেয় । তিনি বুঝতে পারেন রাজনীতিতে ইসলামের পরিপালন ছাড়া ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন অসার হবে। সেই চেতনা ধারণ করেই শিক্ষাজীবনের বি এ অনার্স, এমএ, কামিল, পিজিডিএস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এলএলবি (অনার্স) সম্পন্ন করার পাশাপাশি গঠনমূলক ছাত্ররাজীতিতে অবদান রাখেন তিনি।

ছাত্রজীবনে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন

একাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে সংগঠনের অর্পিত নানা দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেন তিনি। দেশের বৃহৎ ইসলামী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক হিসেবে ২০১১ সালে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর আগে কেন্দ্রীয় প্রচার,আইটি ও তথ্য-গবেষণা সম্পাদক (২০১০), কেন্দ্রীয় স্কুল সম্পাদক (২০০৯), কুমিল্লা মহানগরী সভাপতি (২০০৭-২০০৮), ব্রাহ্মণাবাড়িয়া জেলা সভাপতি (২০০৫-২০০৬), কুমিল্লা মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক (২০০৪), কুমিল্লার কোটবাড়ি অঞ্চল সভাপতি (২০০২-২০০৩), কসবা উপজেলা সাথী শাখার সভাপতি (২০০১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

সামাজিক কাজ

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আর্ত-মানবতার কল্যাণে সাধ্যমত নিজেকে নিয়োজিত করার প্রয়াস ছিল তার সব সময়ই। এই লক্ষ্যে সামাজিক নানা প্রতিষ্ঠানে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে নানা দায়িত্বও পালন করেন এই রাজনীতিবিদ। বর্তমানেও তা অব্যাহত রেখেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় কসবা মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন কসবার এই কৃতি সন্তান। কারওয়ান বাজার শাহী জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার সিনিয়র সহ-সভাপতি, দারুল ইসলাম ট্রাস্টের নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, আব্দুল মান্নান মতি মেম্বার ফাউন্ডেশন ও আলোকিত সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য, ফালাহ ই আম ট্রাস্টের নির্বাহী সদস্য, বিপিএল’র নির্বাহী সদস্য তিনি। এছাড়া ঢাকাস্থ বি-বাড়ীয়া ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক ও কুমিল্লাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টুডেন্ট ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এই জামায়াত নেতা।

ছাত্র ও জাতীয় রাজনীতিতে অবদান

প্রিয় জন্মভূমির কল্যাণে জাতীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করে অবদান রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন আতাউর রহমান সরকার। নানা রাজনৈতিক সংকটে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। তার সেই ধারাবাহিকতা ছাত্রজীবন থেকেই চলমান। ২০০০ সালে বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের কসবা উপজেলায় সদস্য হিসেবে কাজ করেন তিনি। স্থানীয়দের স্বার্থে ১৯৯৯ সালে কসবায় গ্যাস বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে ভূমিকাও পালন করেছেন এই কৃতি সন্তান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের সদস্য সচিব (২০০৫-২০০৬), কুমিল্লা জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক (২০০৭-২০০৮), জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের হাতিরঝিল,রমনার থানা আমির (২০১৭-২০২২) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই শিবির নেতা।১৯৯৮সালে কসবায় ,২০১০,২০১৬ ও ২০২১ সালে ঢাকায় তিনি ফ্যাসিবাদ আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে দেড় বছর কারারুদ্ধ ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মানিকগঞ্জ -২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী প্রকাশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে জামায়াতের এমপি প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার

আপডেট সময় ০৯:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) সংসদীয় আসনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হলেন কসবা সদরের কৃতি সন্তান মু. আতাউর রহমান সরকার।

আজ শনিবার ( ১৭ মে ) জেলার এক সমাবেশে কেন্দ্রীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম।

আতাউর রহমান সরকার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক, বর্তমানে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক। সাংবাদিক, লেখক ও শিক্ষাবিদ হিসেবে খ্যাত এই কসবা সদরের কৃতি সন্তান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত রয়েছেন।

তার মনোনয়নকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছে।

শিক্ষা জীবন ও রাজনৈতিক পথচলা

আতাউর রহমান সরকার ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই ইসলামী আন্দোলনের পথে হাঁটতে শুরু করেন। কদমে কদমে ইসলামের মর্ম উপলদ্ধি করেন তিনি। ইসলামী আন্দোলন ও প্রচলিত রাজনীতির ফারাকগুলো তার জীবনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দেয় । তিনি বুঝতে পারেন রাজনীতিতে ইসলামের পরিপালন ছাড়া ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন অসার হবে। সেই চেতনা ধারণ করেই শিক্ষাজীবনের বি এ অনার্স, এমএ, কামিল, পিজিডিএস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এলএলবি (অনার্স) সম্পন্ন করার পাশাপাশি গঠনমূলক ছাত্ররাজীতিতে অবদান রাখেন তিনি।

ছাত্রজীবনে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন

একাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে সংগঠনের অর্পিত নানা দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেন তিনি। দেশের বৃহৎ ইসলামী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক হিসেবে ২০১১ সালে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর আগে কেন্দ্রীয় প্রচার,আইটি ও তথ্য-গবেষণা সম্পাদক (২০১০), কেন্দ্রীয় স্কুল সম্পাদক (২০০৯), কুমিল্লা মহানগরী সভাপতি (২০০৭-২০০৮), ব্রাহ্মণাবাড়িয়া জেলা সভাপতি (২০০৫-২০০৬), কুমিল্লা মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক (২০০৪), কুমিল্লার কোটবাড়ি অঞ্চল সভাপতি (২০০২-২০০৩), কসবা উপজেলা সাথী শাখার সভাপতি (২০০১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

সামাজিক কাজ

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আর্ত-মানবতার কল্যাণে সাধ্যমত নিজেকে নিয়োজিত করার প্রয়াস ছিল তার সব সময়ই। এই লক্ষ্যে সামাজিক নানা প্রতিষ্ঠানে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে নানা দায়িত্বও পালন করেন এই রাজনীতিবিদ। বর্তমানেও তা অব্যাহত রেখেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় কসবা মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন কসবার এই কৃতি সন্তান। কারওয়ান বাজার শাহী জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার সিনিয়র সহ-সভাপতি, দারুল ইসলাম ট্রাস্টের নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, আব্দুল মান্নান মতি মেম্বার ফাউন্ডেশন ও আলোকিত সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য, ফালাহ ই আম ট্রাস্টের নির্বাহী সদস্য, বিপিএল’র নির্বাহী সদস্য তিনি। এছাড়া ঢাকাস্থ বি-বাড়ীয়া ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক ও কুমিল্লাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টুডেন্ট ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এই জামায়াত নেতা।

ছাত্র ও জাতীয় রাজনীতিতে অবদান

প্রিয় জন্মভূমির কল্যাণে জাতীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করে অবদান রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন আতাউর রহমান সরকার। নানা রাজনৈতিক সংকটে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। তার সেই ধারাবাহিকতা ছাত্রজীবন থেকেই চলমান। ২০০০ সালে বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের কসবা উপজেলায় সদস্য হিসেবে কাজ করেন তিনি। স্থানীয়দের স্বার্থে ১৯৯৯ সালে কসবায় গ্যাস বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে ভূমিকাও পালন করেছেন এই কৃতি সন্তান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের সদস্য সচিব (২০০৫-২০০৬), কুমিল্লা জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক (২০০৭-২০০৮), জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের হাতিরঝিল,রমনার থানা আমির (২০১৭-২০২২) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই শিবির নেতা।১৯৯৮সালে কসবায় ,২০১০,২০১৬ ও ২০২১ সালে ঢাকায় তিনি ফ্যাসিবাদ আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে দেড় বছর কারারুদ্ধ ছিলেন।