ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত : ছাত্রদলের জরুরি মেডিকেল টিম গঠন Logo মানুষের পাশে দাঁড়ান, প্রচুর রক্ত লাগবে : সিবগাতুল্লাহ Logo উত্তরায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে পাইলট বেঁচে আছেন, পালস পেয়েছেন চিকিৎসকরা Logo উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত : নারী-শিশুসহ দগ্ধ প্রায় ৩০ জন জাতীয় বার্ন ইউনিটে Logo বিমানবিধ্বস্ত উদ্ধারে কাজে জামায়তের কর্মীদের র্নিদেশ Logo বিমানবিধ্বস্ত উদ্ধারে কাজে অংশ গ্রহণ করতে জামায়তের কর্মীদের র্নিদেশ Logo উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মাথায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি  Logo উত্তরা বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৮ ইউনিট Logo উত্তরায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত Logo ১০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের আশা আলী রীয়াজের

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ১১৫ ফিলিস্তিনি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ১১৫ ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হানাদার বাহিনীর (আইডিএফ) নারকীয় বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শহীদি হয়েছেন ১১৫ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১৬ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

“তবে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছেন। তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি,” বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫৩ হাজার ১১৯ জন এবং ১ লাখ ২০ হাজার ২১৪ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

’২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী স্বাধীনতাকামী হামাসের যোদ্ধারা। হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।

কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত প্রায় ২ মাসে দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৯৮৫ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৮ হাজার ১৭৩ জন।

যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

সূত্র: আলজাজিরা

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত : ছাত্রদলের জরুরি মেডিকেল টিম গঠন

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ১১৫ ফিলিস্তিনি

আপডেট সময় ১০:১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হানাদার বাহিনীর (আইডিএফ) নারকীয় বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শহীদি হয়েছেন ১১৫ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১৬ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

“তবে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছেন। তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি,” বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫৩ হাজার ১১৯ জন এবং ১ লাখ ২০ হাজার ২১৪ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

’২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী স্বাধীনতাকামী হামাসের যোদ্ধারা। হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।

কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত প্রায় ২ মাসে দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৯৮৫ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৮ হাজার ১৭৩ জন।

যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

সূত্র: আলজাজিরা