ঢাকা ০৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জের চাঁদা চাইতে গিয়ে যুবদল ও কৃষক দলের তিন নেতাকে আটকে রেখে গণপিটুনি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় পুকুর খননকারীর কাছে চাঁদা চাইতে গিয়ে যুবদল ও কৃষক দলের তিন নেতাকে আটকে রেখে গণপিটুনি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনগণ।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকালে উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের নইপাড়া এলাকায় পুকুর খননকারী মোঃ শহীদুল ইসলামের নিকট চাঁদা দাবী করে ৩ জন পুলিশ হেফাযতে থানায় । শহীদুল ইসলাম ও আরব আলী জানান বিকেলে ৩/৪ টি মটর সাইকেলে ৮/৯ জন নইপাড়ায় এসে চাঁদা না দিলে পুকুর খনন করা চলবে না বলে হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন। আরব আলীসহ স্থানীয় বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষ তখন ৩ জনকে আটকে রেখে পিটুনি দিতে থাকে। কেউ কেউ ভিডিও করে লাইফ দেখাতে থাকেন।

আটককৃতরা হলেন,সলঙ্গা থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন,সদস্য রোকনুজ্জামান ও সলঙ্গা থানা কৃষকদলের সাবেক সদস্য সচিব সোবহান আলী।

ঘটনা সম্পর্কে সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এতে বেশকিছু বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষকে ওই নেতাদের আটকে রেখে মারধর করতে দেখা গেছে। বাকি বেশ কয়েক জন দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । উত্তেজিত লোকজন তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার বলেন, “আমি সিরাজগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থান করছি। চাঁদা দাবি ও মারধরের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা নেই। খবর নিয়ে বলতে পারব।”

তবে সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সরকার রাত ৯টার দিকে বলেন, “পুকুর খনন করা সরকারিভাবে অবৈধ। ওই এলাকায় পুকুর খননের মাটি পরিবহনের কারণে রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। তাই দলের নেতাকর্মীরা খনন কাজ বন্ধ করতে সেখানে গিয়েছিল, চাঁদাবাজি করতে যায়নি।”

এ দিকে ধুবিল ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি, তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম ঘটনা সম্পর্কে বলেন, পুরাতন পুকুরের সংস্কার কাজ করতে বেকু ব্যবহার করছিল রাস্তা নষ্ট হওয়ার প্রশ্নই আসে না। নতুন কোন পুকুর খনন করা হচ্ছিল না যে অবৈধ হবে। তিনি জানান এ সকল দুষ্ট চক্র ইউনিয়নসহ সর্বত্রই চাঁদাবাজি করে থাকে।

এদিকে, রাত ১০টার দিকে সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে আটকে রাখা নেতাদের উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, তাদের নির্দেশনা মত পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ছাড়া নইপাড়া এলাকা থেকে কোনো অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক এমপি জেবুন্নেসা আফরোজ গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জের চাঁদা চাইতে গিয়ে যুবদল ও কৃষক দলের তিন নেতাকে আটকে রেখে গণপিটুনি

আপডেট সময় ০৯:১৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় পুকুর খননকারীর কাছে চাঁদা চাইতে গিয়ে যুবদল ও কৃষক দলের তিন নেতাকে আটকে রেখে গণপিটুনি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনগণ।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকালে উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের নইপাড়া এলাকায় পুকুর খননকারী মোঃ শহীদুল ইসলামের নিকট চাঁদা দাবী করে ৩ জন পুলিশ হেফাযতে থানায় । শহীদুল ইসলাম ও আরব আলী জানান বিকেলে ৩/৪ টি মটর সাইকেলে ৮/৯ জন নইপাড়ায় এসে চাঁদা না দিলে পুকুর খনন করা চলবে না বলে হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন। আরব আলীসহ স্থানীয় বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষ তখন ৩ জনকে আটকে রেখে পিটুনি দিতে থাকে। কেউ কেউ ভিডিও করে লাইফ দেখাতে থাকেন।

আটককৃতরা হলেন,সলঙ্গা থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন,সদস্য রোকনুজ্জামান ও সলঙ্গা থানা কৃষকদলের সাবেক সদস্য সচিব সোবহান আলী।

ঘটনা সম্পর্কে সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এতে বেশকিছু বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষকে ওই নেতাদের আটকে রেখে মারধর করতে দেখা গেছে। বাকি বেশ কয়েক জন দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । উত্তেজিত লোকজন তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার বলেন, “আমি সিরাজগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থান করছি। চাঁদা দাবি ও মারধরের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা নেই। খবর নিয়ে বলতে পারব।”

তবে সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সরকার রাত ৯টার দিকে বলেন, “পুকুর খনন করা সরকারিভাবে অবৈধ। ওই এলাকায় পুকুর খননের মাটি পরিবহনের কারণে রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। তাই দলের নেতাকর্মীরা খনন কাজ বন্ধ করতে সেখানে গিয়েছিল, চাঁদাবাজি করতে যায়নি।”

এ দিকে ধুবিল ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি, তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম ঘটনা সম্পর্কে বলেন, পুরাতন পুকুরের সংস্কার কাজ করতে বেকু ব্যবহার করছিল রাস্তা নষ্ট হওয়ার প্রশ্নই আসে না। নতুন কোন পুকুর খনন করা হচ্ছিল না যে অবৈধ হবে। তিনি জানান এ সকল দুষ্ট চক্র ইউনিয়নসহ সর্বত্রই চাঁদাবাজি করে থাকে।

এদিকে, রাত ১০টার দিকে সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে আটকে রাখা নেতাদের উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, তাদের নির্দেশনা মত পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ছাড়া নইপাড়া এলাকা থেকে কোনো অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।”