ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণের পর মুখ পুড়িয়ে রেখে গেল দুষ্কৃতিকারীরা, পাটক্ষেতে উদ্ধার তরুণীর লাশ

জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগাচার ইউনিয়নের বান্দের পাড় আকন্দপাড়ায় এক নারকীয় হত্যাকাণ্ডে শিউরে উঠেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার ( ১৬ মে ২০২৫ )সকাল সাতটার দিকে স্থানীয় কৃষকরা প্রতিদিনের মতো পাটক্ষেতে কাজ করতে গেলে এক নারীর পোড়া মুখ ও নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে তারা পুলিশে খবর দেন।

নিহত নারীর আনুমানিক বয়স ২৭ থেকে ২৮ বছর। তার শরীরে ধর্ষণের আলামত স্পষ্ট ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো—তার মুখমণ্ডল আগুনে পুড়িয়ে বিকৃত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকারীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার পরিচয় গোপন রাখতেই এমন নিষ্ঠুর কৌশল বেছে নিয়েছে।

খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। পাটক্ষেত ও আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখা হয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রাতের কোনো এক সময়ে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে এখানে ফেলে রাখা হয়।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ সাংবাদিকদের জানান,
“ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং বর্বরোচিত। নিহত নারীর পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আমরা আশপাশের থানাগুলোতে তথ্য পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। ইতোমধ্যেই আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং দোষীদের শনাক্তে কাজ চলছে।”

তিনি আরও জানান, নিহত নারীর শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন থাকায় এটি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং সন্দেহভাজনদের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনগণ দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবি, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে যেন আইন অনুযায়ী কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন জঘন্য ঘটনার সাহস না পায়।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও মানবাধিকারকর্মীরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং শোক প্রকাশের পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সালিশি বৈঠক শেষে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

ধর্ষণের পর মুখ পুড়িয়ে রেখে গেল দুষ্কৃতিকারীরা, পাটক্ষেতে উদ্ধার তরুণীর লাশ

আপডেট সময় ১১:০১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগাচার ইউনিয়নের বান্দের পাড় আকন্দপাড়ায় এক নারকীয় হত্যাকাণ্ডে শিউরে উঠেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার ( ১৬ মে ২০২৫ )সকাল সাতটার দিকে স্থানীয় কৃষকরা প্রতিদিনের মতো পাটক্ষেতে কাজ করতে গেলে এক নারীর পোড়া মুখ ও নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে তারা পুলিশে খবর দেন।

নিহত নারীর আনুমানিক বয়স ২৭ থেকে ২৮ বছর। তার শরীরে ধর্ষণের আলামত স্পষ্ট ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো—তার মুখমণ্ডল আগুনে পুড়িয়ে বিকৃত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকারীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার পরিচয় গোপন রাখতেই এমন নিষ্ঠুর কৌশল বেছে নিয়েছে।

খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। পাটক্ষেত ও আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখা হয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রাতের কোনো এক সময়ে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে এখানে ফেলে রাখা হয়।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ সাংবাদিকদের জানান,
“ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং বর্বরোচিত। নিহত নারীর পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আমরা আশপাশের থানাগুলোতে তথ্য পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। ইতোমধ্যেই আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং দোষীদের শনাক্তে কাজ চলছে।”

তিনি আরও জানান, নিহত নারীর শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন থাকায় এটি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং সন্দেহভাজনদের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনগণ দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবি, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে যেন আইন অনুযায়ী কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন জঘন্য ঘটনার সাহস না পায়।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও মানবাধিকারকর্মীরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং শোক প্রকাশের পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।