রাজশাহীর পরিবর্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পদ্মা, ধূমকেতু, সিল্কসিটি ও মধুমতি এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে ট্রেন অবরোধ করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতি-ঢাকা ও জেলার সর্বস্তরের মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনে মল্লিকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন অবরোধ করে তারা এই কর্মসূচি পালন করে। অবরোধের কারণে ট্রেনটি ৪০ মিনিট দেরিতে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পরে বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।
এসময় বক্তারা বলেন, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী চারটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শুধুমাত্র বনলতা এক্সপ্রেস চলাচল করে। রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও আঞ্চলিক বৈষম্যের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী দীর্ঘদিন ধরে সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা হুঁশিয়ারি দেন যে, দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলনের পরিকল্পনা করা হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমাদের দাবি পরিষ্কার রাজশাহী থেকে যতগুলো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে বা করবে তার সবগুলোই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে করতে হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বৈষম্য নিরসনে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা এবং এই জেলা কৃষি প্রধান জেলা এখানে আম, কাসা, পিতল এবং ঐতিহ্যবাহী রেশম শিল্প রয়েছে সেগুলো সমৃদ্ধ করা দরকার। এগুলোর দিকে আপনারা সুনজর দিবেন বলে আমরা আশাবাদী।
এতে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজউকের চিফ ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম এবং আরও উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি লতিফুর রহমান, ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. দেলওয়ার হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জুয়েলসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সেচ্ছাসেবী ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভকারীদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করা হয়েছে এবং আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এরপর বিক্ষোভকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে প্রায় ৪০ মিনিট পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে ওঠে বলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল্লাহ জানিয়েছেন।
পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়।
আসাদুল্লাহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ