জবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, “উনি ব্যক্তিগত ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে কথা বলছেন। এটা কোনোভাবেই সরকারের অবস্থান হতে পারে না। আমার পরামর্শ, তার মানসিক কাউন্সিল করা উচিত।”
এসময় তিনি আরও বলেন, “আজকে মাহফুল আলমের সঙ্গে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার দায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। এই দায় সরকারকেই নিতে হবে। উনি তার ব্যক্তিগত ক্ষোভকে প্রাধান্য দিয়েছেন, ফলে ব্রিফিং শেষ না করেই চলে গেছেন।”
গতকাল রাত ১২টায় ‘জবি ঐক্য’ প্ল্যাটফর্মের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামসুল আরেফিন ঘোষণা দেন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার। তিনি বলেন, “আমরা রাজপথ ছাড়বো না। সারারাত শান্তিপূর্ণভাবে এখানে অবস্থান করবো। যদি এখানে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দুপুরের মতো আবার যদি আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়, আমরা তা মেনে নেবো না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে থাকবো, কিন্তু আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই জায়গা ছেড়ে কোথাও যাবো না। কেউ রক্তচক্ষু দেখাবেন না।”
এদিকে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে কে বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বোতল নিক্ষেপ করেছে। এই ঘটনার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা রাজপথে অবস্থান অব্যাহত রাখবে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোনো চাপ বা হামলায় তারা পিছপা হবে না।