ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুন্সীগঞ্জে মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের আমৃত্যু কারাদণ্ড Logo দেশের অরাজক পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় অন্তর্বতী সরকারের- রাকিব Logo ভালুকায় মা সহ দুই মেয়েকে জবাই করে হত্যা Logo সড়কের বেহাল দশা, লক্ষ্মীপুরের স্থানীয়রা পড়েছেন প্রকৌঁশলীর গায়েবানা জানাজা Logo অযৌক্তিক ধর্মঘট নিয়ে প্রতিবাদ করায় তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ Logo বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে, অভিযোগ নাহিদ ইসলামের Logo ‘মানিকগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভে জামায়াত-শিবিরকে হুঁশিয়ারি Logo ঢাবির হলের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা এক শিক্ষার্থীর Logo চাঁদাবাজির মামলায় মৌলভীবাজারে বিএনপি নেতা কারাগারে Logo রেললাইনে ট্রাক বিকল, ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ

হরিরামপুরে ইছামতি নদীর বুকে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় জনজীবনে দুর্ভোগ

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ও বয়রা ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী, যা পিয়াজচর ও আন্ধারমানিক গ্রামকে বিভক্ত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য কোনো পাকা সেতু নির্মিত হয়নি। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে ব্যবহার করছেন একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো , যা যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষ পারাপার হন। বিশেষ করে পিয়াজচর গ্রামের বাসিন্দারা বাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, উপজেলা ও থানা অফিসে যেতে বাধ্য হন ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো ব্যবহার করেই। অনেক সময় বৃদ্ধ ও শিশুরা পারাপারের সময় পড়ে গিয়ে আহত হন। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছায়, কারণ তখন সাঁকোটিও প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫৬ মিটার দৈর্ঘের বাঁশের সাঁকো বর্তমানে অনেকটা নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে। সাঁকোর বাঁশগুলো নড়বড়ে অবস্থায় পরিণত হয়েছে আবার কোথাও কোথাও বাঁশগুলো এমনভাবে ভেঙে গিয়েছে যা মানুষজন চলাচলের জন্য অনুপযোগী। এই দীর্ঘ সাঁকো দিয়ে শিশুসহ বৃদ্ধদের পারাপার হওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বহুবার একটি স্থায়ী সেতুর দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পিয়াজচর গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আমরা কষ্ট করছি। স্কুলগামী শিশুদের জন্য এটি সবচেয়ে ভয়ংকর। একটু অসতর্ক হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।”

সামিয়া আক্তার নামের একজন কলেজ শিক্ষার্থী জানান,কয়েকদিন আগে কলেজে যাওয়ার সময় সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিচলে পরে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এছারাও তিনি আরও বলেন, শিশুরা একা একা সাঁকো পার হতে না পারায় ভোগান্তিতে পরতে হয় মা-বাবাকে।স্কুলে যাওয়ার সময় সাঁকো পার করে দেওয়া, আবার স্কুল থেকে ফেরার সময় সাঁকো পার করার কাজ করে দিতে হয় মা- বাবাকে।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক, যাতে পিয়াজচর ও আন্ধারমানিক গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয় এবং তারা নিরাপদে চলাচল করতে পারেন। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে কি না, তা এখন দেখার বিষয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের আমৃত্যু কারাদণ্ড

হরিরামপুরে ইছামতি নদীর বুকে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় জনজীবনে দুর্ভোগ

আপডেট সময় ০৬:০৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ও বয়রা ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী, যা পিয়াজচর ও আন্ধারমানিক গ্রামকে বিভক্ত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য কোনো পাকা সেতু নির্মিত হয়নি। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে ব্যবহার করছেন একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো , যা যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষ পারাপার হন। বিশেষ করে পিয়াজচর গ্রামের বাসিন্দারা বাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, উপজেলা ও থানা অফিসে যেতে বাধ্য হন ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো ব্যবহার করেই। অনেক সময় বৃদ্ধ ও শিশুরা পারাপারের সময় পড়ে গিয়ে আহত হন। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছায়, কারণ তখন সাঁকোটিও প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫৬ মিটার দৈর্ঘের বাঁশের সাঁকো বর্তমানে অনেকটা নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে। সাঁকোর বাঁশগুলো নড়বড়ে অবস্থায় পরিণত হয়েছে আবার কোথাও কোথাও বাঁশগুলো এমনভাবে ভেঙে গিয়েছে যা মানুষজন চলাচলের জন্য অনুপযোগী। এই দীর্ঘ সাঁকো দিয়ে শিশুসহ বৃদ্ধদের পারাপার হওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বহুবার একটি স্থায়ী সেতুর দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পিয়াজচর গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আমরা কষ্ট করছি। স্কুলগামী শিশুদের জন্য এটি সবচেয়ে ভয়ংকর। একটু অসতর্ক হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।”

সামিয়া আক্তার নামের একজন কলেজ শিক্ষার্থী জানান,কয়েকদিন আগে কলেজে যাওয়ার সময় সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিচলে পরে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এছারাও তিনি আরও বলেন, শিশুরা একা একা সাঁকো পার হতে না পারায় ভোগান্তিতে পরতে হয় মা-বাবাকে।স্কুলে যাওয়ার সময় সাঁকো পার করে দেওয়া, আবার স্কুল থেকে ফেরার সময় সাঁকো পার করার কাজ করে দিতে হয় মা- বাবাকে।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক, যাতে পিয়াজচর ও আন্ধারমানিক গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয় এবং তারা নিরাপদে চলাচল করতে পারেন। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে কি না, তা এখন দেখার বিষয়।