ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: পুলিশের হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক Logo ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo জবি শিক্ষার্থীদের সাথে উচ্চ শিক্ষার নামে প্রতারণা করা হয়: শিবির সভাপতি Logo নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ডলার গ্রেফতার Logo গোবিন্দগঞ্জে জমি বিরোধে সংঘর্ষ: প্রাণ গেল এক বৃদ্ধের, আহত অন্তত ১০ Logo জবি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ Logo সাড়ে তিন বছর পর আদালতের রায়ে চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা সাইয়েদ Logo ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি দিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় Logo সাম্য হত্যার প্রতিবাদে এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সরকার।

আর এই প্রসঙ্গটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। এক প্রশ্নকারীর প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশের কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।

একইসঙ্গে বাংলাদেশে মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সবার জন্য ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে বলেও জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন টমাস “টমি” পিগট একথা জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন—বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে তার সব রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে দলটির রাজনৈতিক পরিচয় কার্যত মুছে ফেলা হয়েছে এবং ভবিষ্যতের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথও রুদ্ধ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, আগের এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি বাংলাদেশের সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য কী?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র মাইকেল পিগট বলেন: “আমরা জানি যে— অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে সবধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করেছে, যতক্ষণ না দলটির বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায় আসে। আমরা বাংলাদেশের কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সবার জন্য ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি। আমরা সব দেশের — তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে — প্রতি আহ্বান জানাই— মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা যেন সবার জন্য রক্ষা করা হয়।”

পৃথক প্রশ্নে ওই প্রশ্নকারী দাবি করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেভাবে উগ্র মতাদর্শ ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দিচ্ছে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি কী? তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইয়্যেবা’র সদস্য হারুন ইজহার-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশে কাশ্মির ইস্যুতে সহিংসতা উসকে দেওয়া রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সমর্থন বাড়ছে। এই বৈঠকটি বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

জবাবে মার্কিন মুখপাত্র পিগট বলেন: “আমি আগের প্রশ্নের উত্তরেই একটি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছিলাম—সেটিই পুনরায় বলব। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ৫০ বছরের বেশি সময়ের অংশীদারিত্বকে মূল্য দিই। আমরা এই অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী এবং এজন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গেও কাজ করে যাচ্ছি। আগের প্রশ্নে আমি যা বলেছি, সেটিই বলার মতো রয়েছে। এর বেশি কিছু যোগ করার নেই।”

জনপ্রিয় সংবাদ

জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: পুলিশের হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক

আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ১০:৪২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সরকার।

আর এই প্রসঙ্গটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। এক প্রশ্নকারীর প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশের কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।

একইসঙ্গে বাংলাদেশে মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সবার জন্য ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে বলেও জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন টমাস “টমি” পিগট একথা জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন—বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে তার সব রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে দলটির রাজনৈতিক পরিচয় কার্যত মুছে ফেলা হয়েছে এবং ভবিষ্যতের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথও রুদ্ধ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, আগের এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি বাংলাদেশের সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য কী?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র মাইকেল পিগট বলেন: “আমরা জানি যে— অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে সবধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করেছে, যতক্ষণ না দলটির বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায় আসে। আমরা বাংলাদেশের কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সবার জন্য ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি। আমরা সব দেশের — তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে — প্রতি আহ্বান জানাই— মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা যেন সবার জন্য রক্ষা করা হয়।”

পৃথক প্রশ্নে ওই প্রশ্নকারী দাবি করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেভাবে উগ্র মতাদর্শ ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দিচ্ছে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি কী? তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইয়্যেবা’র সদস্য হারুন ইজহার-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশে কাশ্মির ইস্যুতে সহিংসতা উসকে দেওয়া রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সমর্থন বাড়ছে। এই বৈঠকটি বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

জবাবে মার্কিন মুখপাত্র পিগট বলেন: “আমি আগের প্রশ্নের উত্তরেই একটি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছিলাম—সেটিই পুনরায় বলব। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ৫০ বছরের বেশি সময়ের অংশীদারিত্বকে মূল্য দিই। আমরা এই অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী এবং এজন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গেও কাজ করে যাচ্ছি। আগের প্রশ্নে আমি যা বলেছি, সেটিই বলার মতো রয়েছে। এর বেশি কিছু যোগ করার নেই।”