পাকিস্তান ও ভারতের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা সোমবার (১২ মে) হটলাইনের মাধ্যমে তাদের প্রথম দফা আলোচনা করেছেন এবং পাঁচ দিনের যুদ্ধের পর শনিবার ঘোষিত যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে, গতকাল সোমবার পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাশিফ আবদুল্লাহ এবং তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “উভয় পক্ষই যেন একটিও গুলি না চালায় বা একে অপরের বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণাত্মক ও শত্রুতামূলক পদক্ষেপ না নেয়, সেই প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “সীমান্ত এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে সেনা হ্রাস নিশ্চিত করার জন্য উভয় পক্ষই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে একমত হয়েছে।”
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কিন্তু কোনো বিবরণ দেয়নি। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উভয় পক্ষের দ্বিতীয় দফা আলোচনা হবে।
দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি অটুট রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও যুদ্ধবিরতির বিস্তারিত ঘোষণা করার সময় বলেছিলেন, উভয় পক্ষই একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করবে।
গতকাল সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে বলেছেন, আলোচনায় ভারত ‘সন্ত্রাসবাদ’ এবং ‘পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীরের অংশ- আজাদ জম্মু কাশ্মীর’- এর উপর জোর দেবে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, মোদি তার বক্তব্যের মাধ্যম বুঝিয়েছেন যে, ভারত আলোচনায় রাজি আছে। অন্যদিকে, সন্ত্রাসবাদ ও আজাদ জম্মু-কাশ্মীরের ওপর মোদির মনোযোগ ভারতে তার ভোটব্যাংক রক্ষা করার প্রচেষ্টা।