ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাকসু: ব্যালট বাক্স নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনিক ভবনে, নিরাপত্তা জোরদার Logo পরাজয় বরণ করার সাহসী মনোভাব ছাত্রদলের নেই: স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী Logo বরিশালে শিবির ও ছাত্রদলের সংঘর্ষে আহত অন্তত ২৫ জন Logo অবশেষে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় জামাল ভূঁইয়ারা Logo নুরের জন্য দোয়া করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হলেন সাদিক কায়েম Logo জামায়াত নয়, জাকসুর ব্যালট ছাপানোর কোম্পানি বিএনপিপন্থি মালিকের Logo অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপিপন্থি ৩ শিক্ষক Logo জাকসু নির্বাচন বর্জন করল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল Logo জাকসু নির্বাচন:রবীন্দ্রনাথ হল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আটক Logo ছাত্রদলের আপত্তিতে হাতে গণনা হবে জাকসুর ভোট

জামায়াতের নিবন্ধন প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় ইসি

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আপিল বিভাগ যে রায় দেবেন সেটি তারা বাস্তবায়ন করবে। জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের আপিল শুনানি শেষে এ তথ্য জানান ইসির আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৩ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে পরবর্তী শুনানির জন্য বুধবার (১৪ মে) দিন রেখেছেন।

ইসির আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা হাইকোর্টে যা বলেছি আপিল বিভাগেও আমাদের পজিশন একই। আমরা (জামায়াতের নিবন্ধন) আবেদন যাচাই বাছাই করছিলাম, সে অবস্থায় হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করায় পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এখন আমরা আপিল বিভাগের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। আপিল বিভাগে যা রায় হবে সেটাই বাস্তবায়ন করবো।

প্রতীকের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভাতে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল। দাঁড়িপাল্লা প্রতীক, সেটা সুপ্রিম কোর্টের প্রতীক। সেটা অন্য কাউকে বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। সিদ্ধান্তটা নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো হয়। তখন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটা প্রতীকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এখন জামায়াতে ইসলামী বিষয়টা সামনে এনেছেন। এটা যেহেতু ফুলকোর্টের সিদ্ধান্ত ছিল। আপিল বিভাগ বলছে, এই মামলায় ফুলকোর্টের সিদ্ধান্তে হাত দিতে পারবো না।

জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, নির্বাচন কমিশনের সামনে দরখাস্ত পেন্ডিং থাকা অবস্থায় হাইকোর্ট মেজরিটির ভিত্তিতে নিবন্ধন বাতিল করেছে। এর বিরুদ্ধে আপিল করেছিলাম। আজকে শুনানি হয়েছে। আগামীকাল আবার শুনানি হবে। আজকে শুনানিতে মূল কথা যেটা এসেছে সেটা হলো যে প্রক্রিয়ায় হাইকোর্ট বিভাগ নিবন্ধন বাতিল করেছে সেটি মূলত নির্বাচন কমিশনের সামনে বিচারাধীন ছিল। বিবেচনাধীন ছিল। ইসির কাছে বিবেচনাধীন কোনো বিষয় আদালত এইভাবে বাতিল করতে পারে না। এটি ইংরেজিতে বলে প্রিম্যাচিউর।

প্রতীক নিয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ছিল। এটা আজ থেকে না। জামায়াত প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি ছিল। সংসদীয় নির্বাচনে এ প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ফুলকোর্ট সভার এক সিদ্ধান্তের কারণে এ প্রতীক ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা সেটিও আদালতে তুলেছিলাম। আজকে এটির ওপর আংশিক শুনানি হয়েছে। এ নিয়ে আগামীকাল শুনানি হবে।

‘আমরা বলেছি ভারতীয় উপমহাদেশে আদালত কর্তৃক নিবন্ধন বাতিল করার নজির নেই। এটিই প্রথম।’

আদালতে শুনানির সময় জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাকসু: ব্যালট বাক্স নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনিক ভবনে, নিরাপত্তা জোরদার

জামায়াতের নিবন্ধন প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় ইসি

আপডেট সময় ০২:৩৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আপিল বিভাগ যে রায় দেবেন সেটি তারা বাস্তবায়ন করবে। জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের আপিল শুনানি শেষে এ তথ্য জানান ইসির আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৩ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে পরবর্তী শুনানির জন্য বুধবার (১৪ মে) দিন রেখেছেন।

ইসির আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা হাইকোর্টে যা বলেছি আপিল বিভাগেও আমাদের পজিশন একই। আমরা (জামায়াতের নিবন্ধন) আবেদন যাচাই বাছাই করছিলাম, সে অবস্থায় হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করায় পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এখন আমরা আপিল বিভাগের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। আপিল বিভাগে যা রায় হবে সেটাই বাস্তবায়ন করবো।

প্রতীকের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভাতে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল। দাঁড়িপাল্লা প্রতীক, সেটা সুপ্রিম কোর্টের প্রতীক। সেটা অন্য কাউকে বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। সিদ্ধান্তটা নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো হয়। তখন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটা প্রতীকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এখন জামায়াতে ইসলামী বিষয়টা সামনে এনেছেন। এটা যেহেতু ফুলকোর্টের সিদ্ধান্ত ছিল। আপিল বিভাগ বলছে, এই মামলায় ফুলকোর্টের সিদ্ধান্তে হাত দিতে পারবো না।

জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, নির্বাচন কমিশনের সামনে দরখাস্ত পেন্ডিং থাকা অবস্থায় হাইকোর্ট মেজরিটির ভিত্তিতে নিবন্ধন বাতিল করেছে। এর বিরুদ্ধে আপিল করেছিলাম। আজকে শুনানি হয়েছে। আগামীকাল আবার শুনানি হবে। আজকে শুনানিতে মূল কথা যেটা এসেছে সেটা হলো যে প্রক্রিয়ায় হাইকোর্ট বিভাগ নিবন্ধন বাতিল করেছে সেটি মূলত নির্বাচন কমিশনের সামনে বিচারাধীন ছিল। বিবেচনাধীন ছিল। ইসির কাছে বিবেচনাধীন কোনো বিষয় আদালত এইভাবে বাতিল করতে পারে না। এটি ইংরেজিতে বলে প্রিম্যাচিউর।

প্রতীক নিয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ছিল। এটা আজ থেকে না। জামায়াত প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি ছিল। সংসদীয় নির্বাচনে এ প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ফুলকোর্ট সভার এক সিদ্ধান্তের কারণে এ প্রতীক ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা সেটিও আদালতে তুলেছিলাম। আজকে এটির ওপর আংশিক শুনানি হয়েছে। এ নিয়ে আগামীকাল শুনানি হবে।

‘আমরা বলেছি ভারতীয় উপমহাদেশে আদালত কর্তৃক নিবন্ধন বাতিল করার নজির নেই। এটিই প্রথম।’

আদালতে শুনানির সময় জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম উপস্থিত ছিলেন।