ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

দেশে এখন ‘উত্তর কোরিয়ার মতো শাসন’ চলছে : রিজভী

দেশে এখন ‘উত্তর কোরিয়ার মতো শাসন’ চলছে : রিজভী

বাংলাদেশে এখন ‘উত্তর কোরিয়ার মতোই একদলীয় শাসন’ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এটা একটি এক দলীয় দেশ শুধু নয়, নিষ্ঠুর এক দলীয় দেশ, এখানে সেই রকম একদলীয় শাসন চলছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ এখন আর কোনো প্রার্থক্য নেই… একাকার হয়ে গেছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, কথা বলা মানে হচ্ছে সে অদৃশ্য হয়ে যাবে, লাশ হয়ে পড়বে। কয়েকদিন আগে যুব দলের এক ছেলে তুলে নিয়ে যাওয়ার দুই-তিন পর তার লাশ পাওয়া গেছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের চিত্র।

রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২০৬ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে। ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনের মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দিয়ে এরপর থেকে সারাদেশে ১৩ হাজারের অধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। এই সময়ে ১২ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, আহত হয়েছে ৫ হাজার ৯৮৭ জনের অধিক নেতা-কর্মী।

রিজভী বলেন, সরকার নানাভাবে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সম্পর্কে বিভ্রান্ত তৈরি করার অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ সরকারের মন্ত্রীরা অনর্গল মিথ্যাচার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এক সন্ত্রাসী উপরিকাঠামো, সন্ত্রাসের শৃঙ্খলের মধ্যে সারা বাংলাদেশ নিশ্চুপ হয়ে গেছে। সারাদেশের মানুষ সমস্ত কিছু দেখছে।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘তাণ্ডব’ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, গ্রেপ্তারের নানা ঘটনাও তুলে ধরেন রিজভী। বলেন, চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন ওরা বিভোর। ভেবেছে এভাবে নির্মমতা করে তারা চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকবে। সরকারের এ ‘আশা’ জনগণ পূরণ হতে দেবে না বলেও হুশিয়ারি দেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

আগামী রোববার থেকে শুরু হওয়া অবরোধ কর্মসূচির প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আগামী পরশু থেকে শুরু হবে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি। এই কর্মসূচি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে, যারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে, যারা প্রকৃত গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে, যারা অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিশ্বাস করে, যারা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে বিশ্বাস করে প্রত্যেকে এই অবরোধ কর্মসূচি সফল করবে।

এই সরকার ভুলে গেছে, তারা বিপ্লবী সরকার: হাসনাত

দেশে এখন ‘উত্তর কোরিয়ার মতো শাসন’ চলছে : রিজভী

আপডেট সময় ০৯:২১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশে এখন ‘উত্তর কোরিয়ার মতোই একদলীয় শাসন’ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এটা একটি এক দলীয় দেশ শুধু নয়, নিষ্ঠুর এক দলীয় দেশ, এখানে সেই রকম একদলীয় শাসন চলছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ এখন আর কোনো প্রার্থক্য নেই… একাকার হয়ে গেছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, কথা বলা মানে হচ্ছে সে অদৃশ্য হয়ে যাবে, লাশ হয়ে পড়বে। কয়েকদিন আগে যুব দলের এক ছেলে তুলে নিয়ে যাওয়ার দুই-তিন পর তার লাশ পাওয়া গেছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের চিত্র।

রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২০৬ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে। ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনের মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দিয়ে এরপর থেকে সারাদেশে ১৩ হাজারের অধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। এই সময়ে ১২ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, আহত হয়েছে ৫ হাজার ৯৮৭ জনের অধিক নেতা-কর্মী।

রিজভী বলেন, সরকার নানাভাবে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সম্পর্কে বিভ্রান্ত তৈরি করার অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ সরকারের মন্ত্রীরা অনর্গল মিথ্যাচার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এক সন্ত্রাসী উপরিকাঠামো, সন্ত্রাসের শৃঙ্খলের মধ্যে সারা বাংলাদেশ নিশ্চুপ হয়ে গেছে। সারাদেশের মানুষ সমস্ত কিছু দেখছে।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘তাণ্ডব’ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, গ্রেপ্তারের নানা ঘটনাও তুলে ধরেন রিজভী। বলেন, চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন ওরা বিভোর। ভেবেছে এভাবে নির্মমতা করে তারা চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকবে। সরকারের এ ‘আশা’ জনগণ পূরণ হতে দেবে না বলেও হুশিয়ারি দেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

আগামী রোববার থেকে শুরু হওয়া অবরোধ কর্মসূচির প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আগামী পরশু থেকে শুরু হবে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি। এই কর্মসূচি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে, যারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে, যারা প্রকৃত গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে, যারা অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিশ্বাস করে, যারা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে বিশ্বাস করে প্রত্যেকে এই অবরোধ কর্মসূচি সফল করবে।