ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা খাল খননের কাজ করবে সেনাবাহিনীঃ পানিসম্পদ উপদেষ্টা Logo বাজেট না বাড়লে যমুনা অভিমুখে লং মার্চ: জবি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি Logo আ.লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি Logo পিলখানা হত্যাকাণ্ড: আরও ৪০ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিন Logo ৯০ দিনের জন্য ১১৫ শতাংশ শুল্ক কমাতে একমত যুক্তরাষ্ট্র ও চীন Logo হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচ অভিযোগ Logo সিভিল সার্জনরা মন থেকে চাইলে সেবার মান ২৫ শতাংশ উন্নতি সম্ভব : প্রধান উপদেষ্টা Logo বাঁশখালীতে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু Logo তীব্র গরমে বাগেরহাটের মাঠে হাহাকার’পান-সবজি-মাছ চাষে বিপর্যয় Logo ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার

জুলাই ঐক্যের ঘোষণা: “আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে”

জুলাই ঐক্যের ঘোষণা: “আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে”

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ২ হাজার মানুষের রক্তের ঋণ ভুলে যায়নি আন্দোলনকারীরা। সেই চেতনায় নতুন করে সংগঠিত হয়েছে ‘জুলাই ঐক্য’। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত এই প্ল্যাটফর্মে ইতোমধ্যে ৬০টিরও বেশি সংগঠন যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে ‘জুলাই ঐক্য’ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। পরদিন শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। একইদিন যমুনা সমাবেশ থেকে ছাত্র-জনতা শাহবাগে যোগ দেয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

শনিবার রাতে আরও কয়েকটি সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ‘জুলাই ঐক্য’ ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের অংশ হিসেবে শাহবাগ অবস্থানে সম্পৃক্ত হয়।

নেতারা দাবি করেছেন, যদিও ইন্টারিম সরকার রোববার রাতে একটি পরোক্ষ ভাষায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তবুও সেটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি। তাদের মূল দাবি হচ্ছে—আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা, পাশাপাশি ১৪ দলীয় জোট ও আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।

‘জুলাই ঐক্য’ জানিয়েছে, তারা সোমবার (১২ মে) পর্যন্ত সরকারের পরিপত্রের অপেক্ষা করবে এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত:

জুলাই ঐক্যের সিদ্ধান্তসমূহ:
১. সরকারের কাছে বিপ্লবী ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পেশ করা হবে।
২. সারাদেশে ‘জুলাই স্পিরিট’ ধারণকারী সকল সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করা হবে।
৩. ৩ দফা দাবি পূরণে সরকারের পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করা হবে।
4. ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে পরিচিত সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেক্টরের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় এইসব দোসরের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ার করে বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে এবং সহযোগী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তারা দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা খাল খননের কাজ করবে সেনাবাহিনীঃ পানিসম্পদ উপদেষ্টা

জুলাই ঐক্যের ঘোষণা: “আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে”

আপডেট সময় ০৯:৩৫:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ২ হাজার মানুষের রক্তের ঋণ ভুলে যায়নি আন্দোলনকারীরা। সেই চেতনায় নতুন করে সংগঠিত হয়েছে ‘জুলাই ঐক্য’। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত এই প্ল্যাটফর্মে ইতোমধ্যে ৬০টিরও বেশি সংগঠন যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে ‘জুলাই ঐক্য’ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। পরদিন শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। একইদিন যমুনা সমাবেশ থেকে ছাত্র-জনতা শাহবাগে যোগ দেয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

শনিবার রাতে আরও কয়েকটি সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ‘জুলাই ঐক্য’ ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের অংশ হিসেবে শাহবাগ অবস্থানে সম্পৃক্ত হয়।

নেতারা দাবি করেছেন, যদিও ইন্টারিম সরকার রোববার রাতে একটি পরোক্ষ ভাষায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তবুও সেটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি। তাদের মূল দাবি হচ্ছে—আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা, পাশাপাশি ১৪ দলীয় জোট ও আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।

‘জুলাই ঐক্য’ জানিয়েছে, তারা সোমবার (১২ মে) পর্যন্ত সরকারের পরিপত্রের অপেক্ষা করবে এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত:

জুলাই ঐক্যের সিদ্ধান্তসমূহ:
১. সরকারের কাছে বিপ্লবী ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পেশ করা হবে।
২. সারাদেশে ‘জুলাই স্পিরিট’ ধারণকারী সকল সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করা হবে।
৩. ৩ দফা দাবি পূরণে সরকারের পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করা হবে।
4. ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে পরিচিত সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেক্টরের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় এইসব দোসরের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ার করে বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে এবং সহযোগী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তারা দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।