ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের পথে নুর Logo কুমিল্লা-৩ আসনে ভোটের মাঠে দৌড়াচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ইউসুফ হাকিম সোহেল Logo চট্টগ্রাম মিরসরাইয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, আহত ৫ Logo রাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের Logo সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ Logo হাসিনার সাবেক সামরিক সচিক মেজর জেনারেল কবীরকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ Logo জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে নিউইয়র্কে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo আজ টিভিতে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান যা দেখবেন Logo ফজলুর রহমানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলল ডাকসু Logo ভারতকে ১৭২ রানের লক্ষ্য দিল পাকিস্তান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বজ্রপাতে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বজ্রপাতে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রবিবার বিকেলে বজ্রাঘাতের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জেলার নাসিরনগর উপজেলায় তিনজন ও আখাউড়া উপজেলায় দুজন নিহত হন। বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে বজ্রাঘাতের ঘটনায় তারা মারা যান। এ ছাড়া নাসিরনগরে এক নারী আহত হন।

আখাউড়ায় বজ্রাঘাতে এক কৃষকের দুই গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মানুষের মাঝে বজ্রপাত নিয়ে আতঙ্কও দেখা দিয়েছে।

নাসিরনগরে নিহতরা হলেন সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের জুনায়েদ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের গোকর্ণ গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মো. শামসুল হুদা (৬৫) ও চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মো. আলমগীরের মেয়ে জাকিয়া (৭)। আখাউড়ায় নিহতরা হলেন উপজেলার রুটি রুটি গ্রামের সেলিম মিয়া (৬০) ও বনগজ গ্রামের জাকির খাঁ (২২)।

পরিবারের লোকজন তাদের শনাক্ত করেছে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল ইসলাম, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার টেকানগর গ্রামের বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই আব্দুর রাজ্জাক মারা যান। তিনি কৃষি শ্রমিক হিসেবে সেখানে কাজ করছিলেন। গোকর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় ফসলি জমিতে কাজ করার সময় মারা যান শামসুল ইসলাম।

ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে বেড়াতে আসা শিশু জাকিয়া তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে মাঠে ধান শুকানোর কাজ দেখতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা যায়। এ ছাড়া ভলাকুটে হামিদা বেগম (৪০) নামের এক নারী আহত হয়েছেন। তার কণ্ঠনালি পুড়ে যায়। তিনি নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন জানান, বনগজ গ্রামের জাকির খাঁ ধান ভাঙার মেশিন নিয়ে কাজ করছিলেন।

বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রাঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। উপজেলার রুটি গ্রামে সেলিম মিয়া মাঠে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মারা যান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের পথে নুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বজ্রপাতে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৮:০১:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রবিবার বিকেলে বজ্রাঘাতের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জেলার নাসিরনগর উপজেলায় তিনজন ও আখাউড়া উপজেলায় দুজন নিহত হন। বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে বজ্রাঘাতের ঘটনায় তারা মারা যান। এ ছাড়া নাসিরনগরে এক নারী আহত হন।

আখাউড়ায় বজ্রাঘাতে এক কৃষকের দুই গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মানুষের মাঝে বজ্রপাত নিয়ে আতঙ্কও দেখা দিয়েছে।

নাসিরনগরে নিহতরা হলেন সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের জুনায়েদ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের গোকর্ণ গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মো. শামসুল হুদা (৬৫) ও চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মো. আলমগীরের মেয়ে জাকিয়া (৭)। আখাউড়ায় নিহতরা হলেন উপজেলার রুটি রুটি গ্রামের সেলিম মিয়া (৬০) ও বনগজ গ্রামের জাকির খাঁ (২২)।

পরিবারের লোকজন তাদের শনাক্ত করেছে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল ইসলাম, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার টেকানগর গ্রামের বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই আব্দুর রাজ্জাক মারা যান। তিনি কৃষি শ্রমিক হিসেবে সেখানে কাজ করছিলেন। গোকর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় ফসলি জমিতে কাজ করার সময় মারা যান শামসুল ইসলাম।

ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে বেড়াতে আসা শিশু জাকিয়া তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে মাঠে ধান শুকানোর কাজ দেখতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা যায়। এ ছাড়া ভলাকুটে হামিদা বেগম (৪০) নামের এক নারী আহত হয়েছেন। তার কণ্ঠনালি পুড়ে যায়। তিনি নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন জানান, বনগজ গ্রামের জাকির খাঁ ধান ভাঙার মেশিন নিয়ে কাজ করছিলেন।

বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রাঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। উপজেলার রুটি গ্রামে সেলিম মিয়া মাঠে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মারা যান।