ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা খাল খননের কাজ করবে সেনাবাহিনীঃ পানিসম্পদ উপদেষ্টা Logo বাজেট না বাড়লে যমুনা অভিমুখে লং মার্চ: জবি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি Logo আ.লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি Logo পিলখানা হত্যাকাণ্ড: আরও ৪০ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিন Logo ৯০ দিনের জন্য ১১৫ শতাংশ শুল্ক কমাতে একমত যুক্তরাষ্ট্র ও চীন Logo হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচ অভিযোগ Logo সিভিল সার্জনরা মন থেকে চাইলে সেবার মান ২৫ শতাংশ উন্নতি সম্ভব : প্রধান উপদেষ্টা Logo বাঁশখালীতে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু Logo তীব্র গরমে বাগেরহাটের মাঠে হাহাকার’পান-সবজি-মাছ চাষে বিপর্যয় Logo ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বজ্রপাতে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বজ্রপাতে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রবিবার বিকেলে বজ্রাঘাতের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জেলার নাসিরনগর উপজেলায় তিনজন ও আখাউড়া উপজেলায় দুজন নিহত হন। বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে বজ্রাঘাতের ঘটনায় তারা মারা যান। এ ছাড়া নাসিরনগরে এক নারী আহত হন।

আখাউড়ায় বজ্রাঘাতে এক কৃষকের দুই গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মানুষের মাঝে বজ্রপাত নিয়ে আতঙ্কও দেখা দিয়েছে।

নাসিরনগরে নিহতরা হলেন সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের জুনায়েদ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের গোকর্ণ গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মো. শামসুল হুদা (৬৫) ও চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মো. আলমগীরের মেয়ে জাকিয়া (৭)। আখাউড়ায় নিহতরা হলেন উপজেলার রুটি রুটি গ্রামের সেলিম মিয়া (৬০) ও বনগজ গ্রামের জাকির খাঁ (২২)।

পরিবারের লোকজন তাদের শনাক্ত করেছে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল ইসলাম, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার টেকানগর গ্রামের বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই আব্দুর রাজ্জাক মারা যান। তিনি কৃষি শ্রমিক হিসেবে সেখানে কাজ করছিলেন। গোকর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় ফসলি জমিতে কাজ করার সময় মারা যান শামসুল ইসলাম।

ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে বেড়াতে আসা শিশু জাকিয়া তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে মাঠে ধান শুকানোর কাজ দেখতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা যায়। এ ছাড়া ভলাকুটে হামিদা বেগম (৪০) নামের এক নারী আহত হয়েছেন। তার কণ্ঠনালি পুড়ে যায়। তিনি নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন জানান, বনগজ গ্রামের জাকির খাঁ ধান ভাঙার মেশিন নিয়ে কাজ করছিলেন।

বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রাঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। উপজেলার রুটি গ্রামে সেলিম মিয়া মাঠে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মারা যান।

জনপ্রিয় সংবাদ

কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা খাল খননের কাজ করবে সেনাবাহিনীঃ পানিসম্পদ উপদেষ্টা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বজ্রপাতে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৮:০১:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রবিবার বিকেলে বজ্রাঘাতের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জেলার নাসিরনগর উপজেলায় তিনজন ও আখাউড়া উপজেলায় দুজন নিহত হন। বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে বজ্রাঘাতের ঘটনায় তারা মারা যান। এ ছাড়া নাসিরনগরে এক নারী আহত হন।

আখাউড়ায় বজ্রাঘাতে এক কৃষকের দুই গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মানুষের মাঝে বজ্রপাত নিয়ে আতঙ্কও দেখা দিয়েছে।

নাসিরনগরে নিহতরা হলেন সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের জুনায়েদ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের গোকর্ণ গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মো. শামসুল হুদা (৬৫) ও চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মো. আলমগীরের মেয়ে জাকিয়া (৭)। আখাউড়ায় নিহতরা হলেন উপজেলার রুটি রুটি গ্রামের সেলিম মিয়া (৬০) ও বনগজ গ্রামের জাকির খাঁ (২২)।

পরিবারের লোকজন তাদের শনাক্ত করেছে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল ইসলাম, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার টেকানগর গ্রামের বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই আব্দুর রাজ্জাক মারা যান। তিনি কৃষি শ্রমিক হিসেবে সেখানে কাজ করছিলেন। গোকর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় ফসলি জমিতে কাজ করার সময় মারা যান শামসুল ইসলাম।

ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে বেড়াতে আসা শিশু জাকিয়া তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে মাঠে ধান শুকানোর কাজ দেখতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা যায়। এ ছাড়া ভলাকুটে হামিদা বেগম (৪০) নামের এক নারী আহত হয়েছেন। তার কণ্ঠনালি পুড়ে যায়। তিনি নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন জানান, বনগজ গ্রামের জাকির খাঁ ধান ভাঙার মেশিন নিয়ে কাজ করছিলেন।

বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রাঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। উপজেলার রুটি গ্রামে সেলিম মিয়া মাঠে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মারা যান।