অবিলম্বে সেনাবাহিনী থেকে ১০০০ জন ‘প্রকাশ্যে চিহ্নিত’ ট্রান্সজেন্ডার সদস্যকে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (৮ মে) পেন্টাগনের জারি করা একটি নতুন নির্দেশিকার অধীনে তাদের সরানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে অন্যদের ‘আত্মপরিচয়’ দেওয়ার জন্য ৩০ দিন সময় দেওয়া হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনকে সেনাবাহিনীতে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার অনুমতি দেয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বিবৃতিতে আদালতের সিদ্ধান্তের পর তার মতামত স্পষ্ট করেছেন। তিনি এক্স-পোস্টে লিখেছেন, ‘আর কোন সর্বনাম নেই।’ আদালতের রায়ের আগের দিন হেগসেথ বলেছিলেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ ‘দুর্বলতা’কে পিছনে ফেলে আসছে।
এপির প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, ঠিক কতজন ট্রান্সজেন্ডার সেনাবাহিনীত আছেন, তা নির্ধারণ করা কঠিন। তবে মেডিকেল রেকর্ডে ‘লিঙ্গ ডিসফোরিয়া’র বিষয়টি ধরা পড়বে। এরপর ওইসব সৈন্যদের অনিচ্ছাকৃতভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
সেই সঙ্গে এরকম কাউকে আর নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সক্রিয় কর্তব্যরত ন্যাশনাল গার্ড এবং রিজার্ভ বাহিনীতে ৪২৪০ জন সৈন্যের ‘লিঙ্গ ডিসফোরিয়া’ ধরা পড়েছিল। তবে সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে।