ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান: তিন দালাল আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান: তিন দালাল আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৭ মে) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে তিনজন দালালকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।

দুদকের রাজশাহীর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন অভিযানটি নেতৃত্ব দেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে তিন দালালকে আটক করা হয়। তারা লাইসেন্স করে দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করতেন। এসব দালালের মাধ্যমে লাইসেন্স না নিলে গ্রাহকদের নানাভাবে হয়রানি করা হতো বলেও অভিযোগ উঠে।

আমির হোসাইন আরও জানান, “আটক দালালরা স্বীকার করেছে, এই অর্থ থেকে বিআরটিএ’র কিছু কর্মকর্তাও ভাগ পান। তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।”

এদিকে, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শাহজামান হক বলেন, “আটককৃতরা বিআরটিএ অফিস থেকে নয়, বাইরের একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে ধরা হয়েছে। তারা বিআরটিএ সংশ্লিষ্ট কাজ করছিল ঠিকই, তবে অর্থ লেনদেনে

বিআরটিএ কর্মকর্তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”

দুদকের এ অভিযানে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিআরটিএ কার্যক্রমে অনিয়ম ও দালাল চক্রের সক্রিয়তা আবারও সামনে চলে এসেছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তান না ভারত— কার পক্ষে আমরা, নাকি যুদ্ধের বিপক্ষে?

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান: তিন দালাল আটক

আপডেট সময় ০৯:৩৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৭ মে) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে তিনজন দালালকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।

দুদকের রাজশাহীর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন অভিযানটি নেতৃত্ব দেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে তিন দালালকে আটক করা হয়। তারা লাইসেন্স করে দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করতেন। এসব দালালের মাধ্যমে লাইসেন্স না নিলে গ্রাহকদের নানাভাবে হয়রানি করা হতো বলেও অভিযোগ উঠে।

আমির হোসাইন আরও জানান, “আটক দালালরা স্বীকার করেছে, এই অর্থ থেকে বিআরটিএ’র কিছু কর্মকর্তাও ভাগ পান। তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।”

এদিকে, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শাহজামান হক বলেন, “আটককৃতরা বিআরটিএ অফিস থেকে নয়, বাইরের একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে ধরা হয়েছে। তারা বিআরটিএ সংশ্লিষ্ট কাজ করছিল ঠিকই, তবে অর্থ লেনদেনে

বিআরটিএ কর্মকর্তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”

দুদকের এ অভিযানে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিআরটিএ কার্যক্রমে অনিয়ম ও দালাল চক্রের সক্রিয়তা আবারও সামনে চলে এসেছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।