ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে দেশের প্রতিরক্ষা বাজেট ব্যাপকভাবে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। জানা গেছে, আগামী বাজেটে দেশটির প্রতিরক্ষা খাতে ১৮ শতাংশ অর্থাৎ ২.৫ ট্রিলিয়ন রুপিরও বেশি বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। পাকিস্তানে নতুন অর্থবছর শুরু হবে আগামী ১ জুলাই থেকে, তবে তার আগেই জুনের প্রথম সপ্তাহে বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছে দেশটির পার্লামেন্ট।
খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সোমবার প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও তার অর্থনৈতিক দলের সঙ্গে বাজেট নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে পিপিপি বাজেটের খসড়া এবং প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে তারা সম্মত হন।
ইসলামাবাদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল ২,১২২ বিলিয়ন রুপি, যা আগের বছরের (২০২৩-২৪) ১,৮০৪ বিলিয়নের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। তবে আগামী অর্থবছরের জন্য এই বরাদ্দ আরও বাড়িয়ে ২.৫ ট্রিলিয়ন রুপি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
দেশটির বাজেটে ঋণ পরিশোধই সবচেয়ে বড় ব্যয় খাত, যেখানে ৯,৭০০ বিলিয়ন রুপি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বাজেট হচ্ছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। ভারত পাকিস্তানের ওপর দায় চাপিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত এবং সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করার মতো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় এবং সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করে।
এছাড়া পাকিস্তান সোমবার ১২০ কিলোমিটার পাল্লার ‘ফাতাহ’ সিরিজের ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সফল প্রশিক্ষণ উৎক্ষেপণ করে। শনিবারও তারা ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার আরেকটি ‘আবদালি’ অস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করে। দুদেশের পাল্টাপাল্টি সামরিক মহড়া ও ক্ষেপণাস্ত্র পরিক্ষায় উত্তেজনা আরও বাড়ছে।