ঢাকা ০৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

র‍্যাঙ্কিং অধপতন,দুশ্চিন্তায় বিসিবি

আইসিসির ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অধপতন হওয়ার খবর শুনে আঁতকে ওঠেন সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বাংলাদেশ ১০ নম্বরে নেমে গেছে। জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটও অবাক হয়েছেন। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ র‍্যাঙ্কিংয়ে অবনমনের বার্তা। র‍্যাঙ্কিংয়ে অবনমনে ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টদের এ রকম প্রতিক্রিয়ার কারণ আছে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রিয় সংস্করণ এটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত যা সাফল্য, তা ওয়ানডে সংস্করণ থেকে পাওয়া। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা, ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে উন্নীত হওয়া এবং এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ ৫০ ওভারের গেমে। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে যে শিরোপা জিতেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজারা, তাও ওয়ানডে ক্রিকেটে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা চারে উন্নীত হওয়ার স্বপ্ন ছিল। সেই দলের ১০ এ নেমে যাওয়া যেন সেই স্বপ্নের মৃত্যু ঘটা। তবে বিসিবি-সংশ্লিষ্টরা মনে করেন ওয়ানডে ক্রিকেটে শিগগিরই পুনরুত্থান হবে। ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা আটে থেকে সরাসরি বিশ্বকাপও খেলবে।

২০২৩ সালের বিশ্বকাপ দিয়ে পতন শুরু বাংলাদেশের। বিশ্বকাপ-পরবর্তী দল গোছাতে না পারায় মাঠের পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে বলে মনে করা হয়। আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা শেষ আট ওয়ানডের সাতটিতে হেরেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ফলে র‍্যাঙ্কিংয়ের এ অবনমনকে হতাশার বলে মনে করছেন নাজমুল আবেদীন, ‘র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে পড়া দুশ্চিন্তার বিষয়। আমাদের সব থেকে শক্তির জায়গায় ছিল ওয়ানডে সংস্করণ। ২০১৫ সাল থেকে যে উত্থান ছিল, খুবই দুঃখজনক তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটের অস্বচ্ছতার কারণে যে ক্রমাগত অবনতি হয়েছে, আমরা কেউ তা অস্বীকার করতে পারব না। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের হাতে যে সময় আছে এবং সামনে যে সংখ্যক ওয়ানডে ম্যাচ খেলব, আমাদের সুযোগ থাকবে এটাকে অতিক্রম করার। বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করা সম্ভব হবে।’

জাতীয় দলের সাফল্য-ব্যর্থতার সঙ্গে নির্বাচক প্যানেল অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক বাস্তবতা মেনে নিয়ে উত্তরণের পথ খোঁজার কথা বলছেন, ‘ফল ভালো না হলে তো র‍্যাঙ্কিং পেছাবেই। তবে ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সেরা আট দলে থাকা সম্ভব। সামনে অনেক খেলা আছে, এই দলটিকেই গড়ে তুলতে হবে। পুরোনো যারা ছিলেন, তারা থাকাতে অনেক ম্যাচ জিতেছি। এখন যারা এসেছে, তারাও জিতবে। আমরা ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ সরাসরি খেলব।’

সাবেক প্রধান নির্বাচক নান্নুর মতে, ‘আমরা সাতে রেখে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ১০ নম্বরে অবনমিত হওয়া দুঃখজনক। যেভাবেই হোক এখান থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। কী কারণে পিছিয়ে যাচ্ছি, তা খতিয়ে দেখে উত্তরণের পথ বের করতে হবে। বাংলাদেশের মান খারাপ হয়ে গেছে। ৫০ ওভারের ম্যাচে যে মানের ক্রিকেট আমরা খেলছি, তা গ্রহণযোগ্য না।’

আরেক সাবেক অধিনায়ক পাইলট বলছেন, ‘র‍্যাঙ্কিং এক ম্যাচ দিয়ে হয় না। ছয় মাস থেকে এক বছরের ম্যাচের গড় করা হয়। সেই মূল্যায়নে পিছিয়ে পড়ার অর্থ হলো আমরা মান হারিয়েছি।’

জনপ্রিয় সংবাদ

র‍্যাঙ্কিং অধপতন,দুশ্চিন্তায় বিসিবি

আপডেট সময় ১০:০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

আইসিসির ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অধপতন হওয়ার খবর শুনে আঁতকে ওঠেন সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বাংলাদেশ ১০ নম্বরে নেমে গেছে। জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটও অবাক হয়েছেন। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ র‍্যাঙ্কিংয়ে অবনমনের বার্তা। র‍্যাঙ্কিংয়ে অবনমনে ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টদের এ রকম প্রতিক্রিয়ার কারণ আছে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রিয় সংস্করণ এটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত যা সাফল্য, তা ওয়ানডে সংস্করণ থেকে পাওয়া। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা, ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে উন্নীত হওয়া এবং এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ ৫০ ওভারের গেমে। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে যে শিরোপা জিতেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজারা, তাও ওয়ানডে ক্রিকেটে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা চারে উন্নীত হওয়ার স্বপ্ন ছিল। সেই দলের ১০ এ নেমে যাওয়া যেন সেই স্বপ্নের মৃত্যু ঘটা। তবে বিসিবি-সংশ্লিষ্টরা মনে করেন ওয়ানডে ক্রিকেটে শিগগিরই পুনরুত্থান হবে। ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা আটে থেকে সরাসরি বিশ্বকাপও খেলবে।

২০২৩ সালের বিশ্বকাপ দিয়ে পতন শুরু বাংলাদেশের। বিশ্বকাপ-পরবর্তী দল গোছাতে না পারায় মাঠের পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে বলে মনে করা হয়। আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা শেষ আট ওয়ানডের সাতটিতে হেরেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ফলে র‍্যাঙ্কিংয়ের এ অবনমনকে হতাশার বলে মনে করছেন নাজমুল আবেদীন, ‘র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে পড়া দুশ্চিন্তার বিষয়। আমাদের সব থেকে শক্তির জায়গায় ছিল ওয়ানডে সংস্করণ। ২০১৫ সাল থেকে যে উত্থান ছিল, খুবই দুঃখজনক তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটের অস্বচ্ছতার কারণে যে ক্রমাগত অবনতি হয়েছে, আমরা কেউ তা অস্বীকার করতে পারব না। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের হাতে যে সময় আছে এবং সামনে যে সংখ্যক ওয়ানডে ম্যাচ খেলব, আমাদের সুযোগ থাকবে এটাকে অতিক্রম করার। বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করা সম্ভব হবে।’

জাতীয় দলের সাফল্য-ব্যর্থতার সঙ্গে নির্বাচক প্যানেল অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক বাস্তবতা মেনে নিয়ে উত্তরণের পথ খোঁজার কথা বলছেন, ‘ফল ভালো না হলে তো র‍্যাঙ্কিং পেছাবেই। তবে ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সেরা আট দলে থাকা সম্ভব। সামনে অনেক খেলা আছে, এই দলটিকেই গড়ে তুলতে হবে। পুরোনো যারা ছিলেন, তারা থাকাতে অনেক ম্যাচ জিতেছি। এখন যারা এসেছে, তারাও জিতবে। আমরা ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ সরাসরি খেলব।’

সাবেক প্রধান নির্বাচক নান্নুর মতে, ‘আমরা সাতে রেখে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ১০ নম্বরে অবনমিত হওয়া দুঃখজনক। যেভাবেই হোক এখান থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। কী কারণে পিছিয়ে যাচ্ছি, তা খতিয়ে দেখে উত্তরণের পথ বের করতে হবে। বাংলাদেশের মান খারাপ হয়ে গেছে। ৫০ ওভারের ম্যাচে যে মানের ক্রিকেট আমরা খেলছি, তা গ্রহণযোগ্য না।’

আরেক সাবেক অধিনায়ক পাইলট বলছেন, ‘র‍্যাঙ্কিং এক ম্যাচ দিয়ে হয় না। ছয় মাস থেকে এক বছরের ম্যাচের গড় করা হয়। সেই মূল্যায়নে পিছিয়ে পড়ার অর্থ হলো আমরা মান হারিয়েছি।’