ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচারের দাবিতে গাইবান্ধায় ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন

৫ মে ২০২৫ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যার বিচার নিশ্চিতের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, গাইবান্ধা জেলা শাখা। সোমবার (৫ মে) সকালে শহরের কেন্দ্রীয় চৌরাস্তায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা শিবির সভাপতি ফেরদৌস সরকার রুম্মান। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ কখনো প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের সরকার ছিল না; বরং তারা ভারতের অনুগত একটি অঙ্গরাজ্যের মতো আচরণ করেছে। ফলে দেশের আলেম-ওলামা, সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপর চালিয়েছে নির্মম নির্যাতন ও গণহত্যা।”

তিনি আরও বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব এবং ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ওপর হামলা—এ সবই ছিল পরিকল্পিত চক্রান্ত। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ডের’ মাধ্যমে শহীদ করা, ভোটাধিকার হরণ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়ন চালানো—এসব গণবিরোধী পদক্ষেপ গণহত্যারই অংশ।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা সেক্রেটারি শাওন হোসাইন, জেলা অফিস সম্পাদক ইউসুফ আল কারযাভি, সাহিত্য সম্পাদক মিজানুর রহমান, কলেজ ও আইন সম্পাদক আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন শেষে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে আহলে সুন্নাতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ: ১৫ জন আটক

শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচারের দাবিতে গাইবান্ধায় ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৫:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

৫ মে ২০২৫ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যার বিচার নিশ্চিতের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, গাইবান্ধা জেলা শাখা। সোমবার (৫ মে) সকালে শহরের কেন্দ্রীয় চৌরাস্তায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা শিবির সভাপতি ফেরদৌস সরকার রুম্মান। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ কখনো প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের সরকার ছিল না; বরং তারা ভারতের অনুগত একটি অঙ্গরাজ্যের মতো আচরণ করেছে। ফলে দেশের আলেম-ওলামা, সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপর চালিয়েছে নির্মম নির্যাতন ও গণহত্যা।”

তিনি আরও বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব এবং ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ওপর হামলা—এ সবই ছিল পরিকল্পিত চক্রান্ত। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ডের’ মাধ্যমে শহীদ করা, ভোটাধিকার হরণ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়ন চালানো—এসব গণবিরোধী পদক্ষেপ গণহত্যারই অংশ।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা সেক্রেটারি শাওন হোসাইন, জেলা অফিস সম্পাদক ইউসুফ আল কারযাভি, সাহিত্য সম্পাদক মিজানুর রহমান, কলেজ ও আইন সম্পাদক আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন শেষে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।