ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

আজ জুমাতুল বিদা, করতে হবে যেসব আমল

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনেরা, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝো। (সুরা জুমা আয়াত ৯)

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যদি কোনো মুসলিম এ সময় আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এই মুহূর্ত তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)

পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুমার দিনটি জুমাতুল বিদা নামে পরিচিত। এই দিনের বিশেষ মর্যাদা ও তাৎপর্যের কথা প্রচলিত থাকলেও জুমাতুল বিদা পরিভাষাটি কোনো নির্ভরযোগ্য উৎসগ্রন্থ থেকে প্রমাণিত নয়।

তবে, মোবারক মাস রমজানের শেষ জুমার দিন হিসেবে এর গুরুত্ব কম নয়। রমজান আর জুমা একত্রে মিলিত হয়ে দিনটিকে করে তুলেছে সীমাহীন মহিমাময়। তবে রমজান, শবে কদর ও জুমার দিন যে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ, তাতে কারও দ্বিমত নেই। তাই এই দিনে বেশি বেশি ইবাদত করে রমজান, শবে কদর ও জুমার ফজিলত অর্জন করা আমাদের কর্তব্য।

জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন। এই দিনের আছে বিশেষ ইবাদত ও আমল। জুমার দিনের মধ্যে জুমাতুল বিদার বিশেষ ফজিলত আছে। অন্যান্য জুমার দিনের মতো এই দিনে আছে এমন মাহেন্দ্রক্ষণ, যখন মহান আল্লাহ বান্দার যাবতীয় দোয়া কবুল করেন। বান্দা তখন আল্লাহর কাছে যা চাইবে আল্লাহ তা-ই দান করেন।

তবে সেই সময় খুব সীমিত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার দিন সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, তাতে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন কোনো মুসলিম বান্দা সালাতরত অবস্থায় আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে অবশ্যই তিনি তাকে তা দান করেন। কুতায়বা (রা.)-এর বর্ণনায় আরও আছে, তিনি তার হাত দ্বারা মুহূর্তটির স্বল্পতার প্রতি ইঙ্গিত করেন। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৫৪)।

 

হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করে, এরপর জুমা পড়তে উপস্থিত হয় এবং মনোযোগ দিয়ে নীরবে খুতবা শোনে, সে ব্যক্তির এই জুমা ও (আগামী) জুমার মধ্যকার এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের সগিরা গুনাহগুলো ক্ষমা করা হয়। (মুসলিম)

মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

আজ জুমাতুল বিদা, করতে হবে যেসব আমল

আপডেট সময় ১০:৩০:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনেরা, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝো। (সুরা জুমা আয়াত ৯)

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যদি কোনো মুসলিম এ সময় আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এই মুহূর্ত তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)

পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুমার দিনটি জুমাতুল বিদা নামে পরিচিত। এই দিনের বিশেষ মর্যাদা ও তাৎপর্যের কথা প্রচলিত থাকলেও জুমাতুল বিদা পরিভাষাটি কোনো নির্ভরযোগ্য উৎসগ্রন্থ থেকে প্রমাণিত নয়।

তবে, মোবারক মাস রমজানের শেষ জুমার দিন হিসেবে এর গুরুত্ব কম নয়। রমজান আর জুমা একত্রে মিলিত হয়ে দিনটিকে করে তুলেছে সীমাহীন মহিমাময়। তবে রমজান, শবে কদর ও জুমার দিন যে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ, তাতে কারও দ্বিমত নেই। তাই এই দিনে বেশি বেশি ইবাদত করে রমজান, শবে কদর ও জুমার ফজিলত অর্জন করা আমাদের কর্তব্য।

জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন। এই দিনের আছে বিশেষ ইবাদত ও আমল। জুমার দিনের মধ্যে জুমাতুল বিদার বিশেষ ফজিলত আছে। অন্যান্য জুমার দিনের মতো এই দিনে আছে এমন মাহেন্দ্রক্ষণ, যখন মহান আল্লাহ বান্দার যাবতীয় দোয়া কবুল করেন। বান্দা তখন আল্লাহর কাছে যা চাইবে আল্লাহ তা-ই দান করেন।

তবে সেই সময় খুব সীমিত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার দিন সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, তাতে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন কোনো মুসলিম বান্দা সালাতরত অবস্থায় আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে অবশ্যই তিনি তাকে তা দান করেন। কুতায়বা (রা.)-এর বর্ণনায় আরও আছে, তিনি তার হাত দ্বারা মুহূর্তটির স্বল্পতার প্রতি ইঙ্গিত করেন। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৫৪)।

 

হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করে, এরপর জুমা পড়তে উপস্থিত হয় এবং মনোযোগ দিয়ে নীরবে খুতবা শোনে, সে ব্যক্তির এই জুমা ও (আগামী) জুমার মধ্যকার এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের সগিরা গুনাহগুলো ক্ষমা করা হয়। (মুসলিম)

মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।